কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: গা ঢাকা দিয়েও শেষরক্ষা হল না। সল্টলেক (Salt Lake) কঙ্কাল কাণ্ডে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল নিহতের ছোট বোন বৈভবী। রাঁচি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। জানা গিয়েছে, ওই যুবককে খুন করতে মাকে সাহায্য করেছিল ভাই বিদুর এবং বোন বৈভবী।
গত ১১ ডিসেম্বর সল্টলেকের এজে ব্লকের ‘অভিশপ্ত’ বাড়ি থেকে উদ্ধার হল একটি নরকঙ্কাল। কিন্তু কোথা থেকে এল সেটি? তারই তদন্তে নামে বিধাননগর থানার পুলিশ। পরতে পরতে রহস্যে মোড়া সল্টলেক কঙ্কাল কাণ্ডে ইতিমধ্যেই নতুন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, জ্বলজ্যান্ত অবস্থায় পোড়ানো হয়েছিল অর্জুন মাহিনশারিয়াকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর এই বিষয়টি সামনে এসেছে। দেহ পোড়ানোর গন্ধ আটকাতে কর্পূর ব্যবহার করা হয়েছিল। যে দোকান থেকে কর্পূর এবং পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত কাঠ কেনা হয়েছে সেই দোকানটির খোঁজও পায় পুলিশ। পাঁচ কেজি কর্পূর এবং তিরিশ কেজি কাঠ কেনা হয়েছিল সেখান থেকে। এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে এক তান্ত্রিক ও তার কয়েকজন সহকারীর নাম উঠে আসে তদন্তে। তাদের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে।
[আরও পড়ুন: লড়াই করেও মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে সমর্থ তৃণমূল, প্রতিষ্ঠা দিবসে টুইট বার্তা মমতার]
পুলিশ (Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্জুন অসুস্থ ছিলেন। রোগে ভুগে শরীরে ক্ষয় ধরেছিল। ৪২ থেকে ৫০ কেজির আশপাশে নেমে এসেছিল ওজন। রোগে ভুগে দেহে শক্তি ছিল না একেবারেই। তাই দেহে প্রাণ থাকা অবস্থায় পোড়াতে বিন্দুমাত্র বেগ পেতে হয়নি হত্যাকারীদের। ছেলেকে খুনের অভিযোগে ধৃত অর্জুনের মা গীতা মাহিনশারিয়া এবং ভাই বিদুরকে আগেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। এই ঘটনায় যুক্ত অর্জুনের ছোট বোন বৈদেহীর খোঁজ করছিলেন তদন্তকারীরা। সে গা ঢাকা দিয়েছিল রাঁচিতে। অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জেরা করে আরও নতুন তথ্যের খোঁজ পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।