স্টাফ রিপোর্টার : রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবেই সিবিআই-ইডিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সিপিএমের (CPM) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury)। কলকাতায় দাঁড়িয়ে সিপিএম সাধারণ সম্পাদকের এই মন্তব্য রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজ্য সিপিএম যে কোনও ইস্যুতেই সিবিআই তদন্তের দাবি করে। সিবিআই-ইডিকে যে বিজেপি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে চলেছে তা নিয়ে বহুদিন ধরে সরব তৃণমূল (TMC)। ইয়েচুরি তৃণমূলের বক্তব্যকেই কার্যত সমর্থন জানিয়ে দলের রাজ্য নেতাদেরও বার্তা দিলেন বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। একইসঙ্গে তিনি এদিন সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে আটকাতে বৃহত্তর ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একত্রিত করতে হবে।
[আরও পড়ুন: জঞ্জালের স্তূপে পড়ে থাকা মোবাইলের ব্যাটারিতে আগুন, বিস্ফোরণে প্রাণ গেল শিশুর]
এ প্রসঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের প্রস্তাবিত বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে (Yashwant Sinha) সমর্থন কেন্দ্রীয় পার্টির সিদ্ধান্ত। সেটা সব রাজ্য পার্টিকে মানতে হবে। অর্থাৎ, যশবন্তকে সমর্থন নিয়ে আলিমুদ্দিনের যে বিরোধিতা ছিল সেটা কার্যত উড়িয়ে দিয়ে ইয়েচুরি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আটকাতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে আরও বেশি করে সঙ্ঘবদ্ধ করাই পার্টির লক্ষ্য। বিজেপি মূল শত্রু। বিজেপিকে আটকাতে সকলকে নিয়েই চলতে হবে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে। সেখানে তৃণমূলও থাকতে পারে।
তবে তিনি এও বলেন, রাজ্যের কোনও ভোটে কী লাইন হবে সেটা রাজ্য পার্টিই ঠিক করবে। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর (Jyoti Basu) ১০৯তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা জেলা পার্টি অফিসে অনুষ্ঠিত জ্যোতি বসু স্মারক বক্তৃতায় অংশ নেন সীতারাম ইয়েচুরি। সকালে নিউটাউনে জ্যোতি বসু রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্মাণকাজের সূচনা থেকে শুরু করে বিকেলে স্মারক বক্তৃতা। আর সারাদিন স্যোশাল মিডিয়ায় বসুকে স্মরণ।
[আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ে ৩ তৃণমূল নেতা-কর্মী খুনে প্রথম গ্রেপ্তার, কুলতলি থেকে পাকড়াও আফতাবউদ্দিন]
সিপিএম নেতারা বুঝিয়ে দিয়েছেন, জ্যোতি বসু পার্টির কাছে আজও প্রাসঙ্গিক। এদিন বিধানসভায় জ্যোতি বসুকে শ্রদ্ধা জানান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জ্যোতি বসু স্মরণেও বিধানসভায় এদিন দেখা যায়নি বিরোধী দল বিজেপিকে। সেটা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন স্পিকার। পাশাপাশি স্পিকার বলেন, জ্যোতি বসুর হাতে গড়া সিপিএমের কোনও প্রতিনিধি বিধানসভায় নেই, এটা সত্যি খারাপ লাগে।