সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ি থেকে একই পরিবারের ছয় সদস্যের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওড়িশার (Odisha) বলানগির জেলার ঘটনা। কে বা কারা কেন খুন করল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ।
বলানগির জেলার সোনারপদ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন বুলু জানি (৫০)। গত ১০ বছর ধরে ওই এলাকায় তিনি মধু সংগ্রহ ও বিক্রির ব্যবসা করতেন। সোনারপদ গ্রামে পরিবার নিয়ে থাকতেন বুলু। তাঁর স্ত্রী জ্যোতি ছাড়াও তাঁদের দুই ছেলে ভীষ্ম ও সঞ্জীব এবং দুই মেয়ে সরিতা এবং শ্রেয়া থাকত সেই বাড়িতে। বুধবার সকালে দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁদের বাড়ির দরজা বন্ধ থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। ডাকাডাকির পরও দরজা খোলেনি। শেষপর্যন্ত জানলা দিয়ে প্রতিবেশীরা দেখেন, ঘরের মেঝেতে ছ’জনের দেহ পড়ে রয়েছে। কম্বলে মুড়ে রাখা হয়েছে ছ’টি দেহই। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন : আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় জোর দেওয়া হবে, মোদির সঙ্গে ফোনালাপে জানালেন WHO প্রধান]
পুলিশে তদন্ত শুরু করেছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বোলানগিরি জেলার পুলিশ সুপার সন্দীপ সম্পত জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তের স্বার্থে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেবেন। সেই দলে ফরেনসিকের সদস্যদেরও রাখা হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ছজনকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তাঁদের সঙ্গে কারোর কোনও শত্রুতা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত এই রহস্যের কিনারা করা হবে।
অন্যদিকে, চেন্নাইতে এক পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। এক বৃদ্ধ দম্পতি ও তাঁর ছেলের দেহ উদ্ধার হয়েছে বাড়ি থেকেই। তিনজনের দেহেই বুলেটের আঘাত মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে কেউ বা কারা তাদের খুন করেছে।