সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শতাব্দী পর শতাব্দী তা লুকিয়ে ছিল মাটির তলায়। এবার, চিনের নানজিং-এর একটি বৌদ্ধ মঠ থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযানে পাওয়া গেল গৌতম বুদ্ধর করোটির অংশ।
নানজিং-এর ওই বৌদ্ধ মঠটির পরিচিতি গ্র্যান্ড বাওয়েন টেম্পল নামে। সেখানেই মাটির তলায় একটি স্বর্ণস্তূপে রাখা ছিল পবিত্র ওই অস্থি। প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, স্বর্ণস্তূপ সংলগ্ন একটি প্রস্তরলিপি থেকে জানা গিয়েছে, এটি গৌতম বুদ্ধর করোটির অংশবিশেষ।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা আরও জানিয়েছেন, ওই স্বর্ণস্তূপের মধ্যে একটি দৈর্ঘ্যে ১১৭ সেন্টিমিটার ও প্রস্থে ৪৫ সেন্টিমিটার চন্দকাঠের বাক্স ছিল। সেই বাক্স ছিল সোনার জলে মোড়া। তার মধ্যেই সযত্নে গচ্ছিত ছিল গৌতম বুদ্ধর করোটি।
এই বাক্সেই রাখা ছিল গৌতম বুদ্ধর করোটি
ইতিহাস বলে, ৫৪৪ বা ৫৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গৌতম বুদ্ধের মহাপ্রয়াণ ঘটে। তাঁর অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হয় হিরণ্যবতী নদীর তটে। শেষকৃত্যর পরে তাঁর অস্থি শিষ্যরা ভাগ করে নেন নিজেদের মধ্যে। শিষ্যদের কাছ থেকে তা সংগ্রহ করে পরে রাজা অশোক বিশ্বব্যাপী ৮৪,০০০টি স্তূপ নির্মাণ করেন। সেই সব স্তূপের মধ্যে রক্ষিত ছিল গৌতম বুদ্ধের অস্থি।
স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারে সাড়া পড়ে গিয়েছে বিশ্বে। প্রশ্নও উঠছে, এই দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। কেন না, কী ভাবে গৌতম বুদ্ধর করোটি নানজিংয়ের ওই মঠে পৌঁছল, তা এখনও জানা যায়নি। সেই কথা লেখা রয়েছে প্রস্তরলিপিতে। এখনও সেই লিপি পাঠোদ্ধারের কাজ চলছে।
তবে, অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদ বলছেন, বুদ্ধের ১৯টি দেহাবশেষ এর আগে আবিষ্কৃত হয়েছিল চিনের আশে-পাশে। কাজেই, এবারে আবিষ্কৃত এই করোটি সাক্ষাৎ গৌতম বুদ্ধর হতেই পারে!
The post চিনের শতাব্দীপ্রাচীন মঠে মিলল গৌতম বুদ্ধর করোটি! appeared first on Sangbad Pratidin.