সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: SLST চাকরীপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে পুলিশি হানা। জোরপূর্বক অনশনকারীদের তুলে দেওয়ার অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন চাকরিপ্রার্থীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার ধর্মতলার শহিদ মিনার চত্বর।
২০১৬ সালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এখনও চাকরির নিয়োগপত্র পাননি। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক হিসেবে যোগ্যতা প্রমাণের পরও নিয়োগ হয়নি ২৫০০ প্রার্থীর। ফলে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে একাধিকবার পথে নেমেছেন SLST প্রার্থী। ৭০ দিন ধরে ধর্মতলায় চলছিল অনশন-বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে ছিলেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। আচমকাই সেখানে হানা দেয় পুলিশ। টেনে হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয় তাঁদের। বাধা দিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে। সেই সময়ই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
[আরও পড়ুন: ‘টাকা মাটি, মাটি টাকা’, দক্ষিণেশ্বর গিয়ে রামকৃষ্ণের বাণী স্মরণ করে ‘আধ্যাত্মিক’ বার্তা মমতার]
এক আন্দোলনকারী মহিলাকে চ্যাংদোলা করে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় তিনি বলেন, “পাশ করাটাই আমাদের ভুল হয়েছিল। আজকে আমাদের অমানুষের মতো মারধর করা হচ্ছে। আমরা ক্রিমিনাল নাকি যে এভাবে অত্যাচার করা হল।” অন্যান্যদের গলাতেও একই সুর। ‘পুলিশি অত্যাচারে’র বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা। কাউন্সিলের তরফে নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত অনশন তুলবেন না বলেই জানিয়েছেন। থানা থেকে ফের অনশন মঞ্চে যাবেন বলেই হুঁশিয়ারি বিক্ষোভকারীদের।