সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকটা দেশ নিজেদের মধ্যে ছোট্ট দল তৈরি করে মিলেমিশে দুনিয়া শাসন করবে। সেদিন চলে গিয়েছে। এভাবেই চলতি জি৭ (G7) সম্মেলনের দিকে ব্যঙ্গের তির ছুঁড়ল চিন (China)। গত শুক্রবার থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হয়েছে এই সম্মেলন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে ফ্রান্স, কানাডা, জাপান, জার্মানি, ইতালির মতো উন্নত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা তাতে যোগ দিয়েছেন। এদিকে ভারচুয়ালি বক্তব্য পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। যদিও ভারত জি৭ গোষ্ঠীর সদস্য নয়, তবুও জনসনের বিশেষ আমন্ত্রণে বক্তব্য রেখেছেন মোদি।
এই পরিস্থিতিতে সম্মেলনকে উদ্দেশ করে হুঁশিয়ারি দিল বেজিং। রবিবার লন্ডনে চিনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র জানালেন, ‘‘সেই দিন চলে গিয়েছে, যখন কয়েকটি দেশ মিলে সারা বিশ্বের হয়ে সিদ্ধান্ত নিত। আমরা বরাবরই বিশ্বাস করে এসেছি সমস্ত দেশ, তারা ছোট হোক বা বড়, শক্তিশালী হোক বা দুর্বল, সকলেই সমান। আর তাই বিশ্বের যে কোনও সিদ্ধান্তই সকলে মিলে নেওয়া উচিত।’’
[আরও পড়ুন: ফের মাস্ক ছাড়াই বাইক মিছিল, মোটা টাকা জরিমানা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের]
কিন্তু চিন হঠাৎ এই সম্মেলনের উপরে এত ক্ষুব্ধ হল? আসলে মনে করা হচ্ছে, আপাত ভাবে এই জি৭ সম্মেলনে করোনার মোকাবিলা ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা করার মতো বিষয়ে আলোচনা করা হলেও নেপথ্যে রয়েছে চিন-বিরোধিতায় একত্রিত হওয়ার মঞ্চ নির্মাণ। স্বাভাবিক ভাবে এতেই চটেছে বেজিং।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়া-আমেরিকা ঠান্ডা যুদ্ধের সমাপ্তি হয়। তারপর থেকে গত তিন দশকে ক্রমশই উত্থান হয়েছে চিনের। ওয়াকিবহাল মহলের মত, চিনের এভাবে বিশ্বশক্তির অংশ হয়ে ওঠাই সম্ভবত গত ৩০ বছরে বিশ্ব রাজনীতিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আর চিনের এই উত্থানকেই মেনে নিতে পারেনি বিশ্বের উন্নত দেশগুলি। সেই কারণে জি৭ সম্মেলনের সদস্য দেশগুলি চিনের শক্তিকে খর্ব করতে চাইছে। স্বাভাবিক ভাবে বিরোধিতার রাস্তায় নেমেছে শি জিনপিংয়ের দেশও।