সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত ব্যক্তির নামে বার লাইসেন্স! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পরিবারের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নামে গোয়ায় একটি মদের দোকনের লাইসেন্স রিনিউ করিয়েছেন স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani) কন্যা জোইশ ইরানি। ভুল নথি জমা দেওয়ার অভিযোগ তুলে স্থানীয় এক আইনজীবী আরটিআইয়ের আবেদন করেন। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গিয়েছে, গত ২২ জুন সিলি সোলস কাফে অ্যান্ড বার নামে ওই মদের দোকানের লাইসেন্স রিনিউ করা হয়। অ্যান্থনি ডি’গামা নামে এক ব্যক্তির নামেই লাইসেন্স বানানো হয়েছিল। রাজ্যের আবগারি দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছিল, লাইসেন্স হোল্ডারের তরফে অন্য একজন নথিপত্রে সই করেছেন। ২০২২-২০২৩ সালের জন্য লাইসেন্স রিনিউ করার আবেদন জানানো হয়েছিল। ১২০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে তৈরি করা বাড়ির একটি অংশে চালান হয় ওই বার।
[আরও পড়ুন: ধূমপানের জন্য বয়সের সীমা বাড়ল না, জনস্বার্থ মামলার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের]
কিন্তু তারপরেই স্থানীয় আইনজীবী আইরেস রডরিগেজ অভিযোগ জানান, বিভ্রান্তিকর নথিপত্র পেশ করে লাইসেন্স আদায় করা হয়েছে। সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখার জন্য আরটিআইয়ের আবেদন করেন তিনি। সেখানেই জানা যায়, ২০২১ সালের ১৭ মে মৃত্যু হয়েছে অ্যান্থনি ডি’গামার। তার এক বছরেরও বেশি সময় কেটে যাওয়ার পরে তাঁর নামে লাইসেন্স রিনিউ করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির আধার কার্ড ব্যবহার করে যাবতীয় কাজ করা হয়েছিল। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটও খুঁজে বের করা হয়।
এহেন তথ্য জানতে পেরে ওই বারে (Goa Restaurant) শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে গোয়ার আবগারি দপ্তর। অ্যান্থনি নামে ওই মৃত ব্যক্তি আদৌ কোনওভাবে বারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করেন আইরেস। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, বারকে লাইসেন্স দিতে গিয়েও আইন ভাঙা হয়েছে। যদি কোনও রেস্তরাঁর লাইসেন্স না থাকে, তাহলে সেখানে বার চালানোর অনুমতি দেওয়া হয় না। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আগেই বার খোলার অনুমতি দিয়েছিল গোয়ার আবগারি দপ্তর।
আইরেসের মতে, আবগারি দপ্তর এবং স্থানীয় পঞ্চায়েতের সাহায্য নিয়েই এমন জালিয়াতি করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর (Smriti Irani Daughter) পরিবার। এই ঘটনার বিশদ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, খাদ্য বিশারদ কুণাল বিজয়করের সঙ্গে একটি আলোচনাসভায় স্মৃতি ইরানির কন্যা জোইশ জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক মানের খাদ্যসম্ভার নেই গোয়াতে। সেই অভাব পূরণ করবে তাঁর রেস্তরাঁ সিলি সোলস। এই রেস্তরাঁ গোয়ার ফুড ডেস্টিনেশন হয়ে উঠবে বলেই জানিয়েছিলেন জোইশ।