ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজা দাস: দণ্ডি বিতর্কের জের। সরানো হল দক্ষিণ দিনাজপুরে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে। দায়িত্ব পেলেন স্নেহলতা হেমব্রম। শোনা যাচ্ছে, গোটা ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তপন বিধানসভা জেডপি-১২ মণ্ডলের গোফানগরে কয়েকজন মহিলা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূলের ছিলেন বলে দাবি করে বিজেপির। সেই ঘটনার চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই তপনের জেডপি-১২ মণ্ডলের গোফানগর থেকে শুক্রবার বালুরঘাট শহরে আসেন বিজেপিতে যোগদানকারীরা। তাঁরা বেশ কিছুটা রাস্তা দণ্ডি কেটে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে আসেন। সেখানে জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর হাত থেকে ফের তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন। দণ্ডি কাটার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড়।
[আরও পড়ুন: কুন্তলের মিডলম্যান হিসেবে কাজ! এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়াল রায়গঞ্জের স্কুল শিক্ষকের]
তবে গোটা বিষয়টা মোটেও ভালভাবে নেননি তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। সেই কারণেই তড়িঘড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরানোর সিদ্ধান্ত বলেই খবর। তবে এ বিষয়ে এখনও প্রদীপ্তাদেবীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে চার আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটানোর ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার বালুরঘাট-সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৯ টি থানায় ধরনা ও বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, গোটা ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হওয়া সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি।