সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সরকারি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাজনৈতিক সভাও রয়েছে তাঁর। তবে তার আগে নন্দীগ্রামে তুমুল অশান্তি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠল বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ। জখম বেশ কয়েকজন। ছেঁড়া হল রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের ফ্লেক্সও। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হলদিয়ার (Haldia) হেলিপ্যাড ময়দানে রাজনৈতিক সভা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির। সে কারণেই মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছিল। অভিযোগ, ঠিক সেই সময় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ঘটনাস্থলে হাজির হন। মঞ্চ বাঁধার কাজে ব্যস্ত থাকা গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায় তারা। মোট পাঁচজন বিজেপি কর্মী জখম হন। তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের প্রথমে তমলুক হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তবে একজনের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপি তাদের উপর মিথ্যা দোষারোপ করছে। তাদের সঙ্গে হামলার কোনও যোগসাজশ নেই বলেও দাবি ঘাসফুল শিবিরের।
[আরও পড়ুন: বিবেকানন্দ ‘ঠাকুরে’র বাংলা! মনীষীদের কথা বলতে গিয়ে ‘ভুল’ নাড্ডার, খোঁচা তৃণমূলের]
মোদির সভার ঠিক আগে চৌমোড়ের পাশাপাশি উত্তেজনা ছড়িয়েছে কমলপুরেও। অভিযোগ, মোদির সভা উপলক্ষে ওই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ফ্লেক্স লাগিয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। সেই ফ্লেক্সও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার নেপথ্যেও তৃণমূলের যোগসাজশই দেখছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তবে এক্ষেত্রেও অভিযোগ নস্যাৎ করেছে গেরুয়া শিবির। দু’টি ঘটনাতেই অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এভাবে বিজেপিকে রোখা সম্ভব নয় বলেই দাবি তাঁর। কাঁথি থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বলেই এহেন অশান্তি, দাবি দিলীপ ঘোষের।
এদিকে, রাজনৈতিক সভা শেষে হলদিয়ায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের (BPCL) প্রকল্প উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদি। আমন্ত্রণ থাকলেও ওই অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুষ্ঠানে না যাওয়ার কথা জানিয়েছেন শিশির অধিকারীও (Sisir Adhikari)। তবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) এবং দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari) অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলেই জানা গিয়েছে।