স্টাফ রিপোর্টার: কাঁধে অল্প-স্বল্প ব্যথা। চিকিৎসক না দেখিয়ে, গুগল (Google) দেখেই ওষুধ খেয়েছেন। মাস তিনেক পরে সেই কাঁধে হাত দেওয়ার জো নেই। সামান্য ছুঁলেই যন্ত্রণায় বিকৃত হয়ে যাচ্ছে মুখ। অ্যানাস্থেটিস্ট, পেন ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট ডা. দেবাঞ্জলি রায় জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এমনটা হত না। দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা চেপে রাখলে শরীরের পেন রিসেপটরের অ্যানাটমিকাল গঠনের পরিবর্তন হয়। তার ফলেই দেখা যায় হাইপেরালজিসিয়া (Hyperalgesia)।
হাইপেরালজিসিয়ার প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। তখন ব্যথা (Pain) হওয়ার জায়গায় সামান্য টোকা লাগলেই জীবন বেরিয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়। ঘরে ঘরে এমন ঘাড় ব্যথার গল্প। আমজনতা যাকে বলছেন ফ্রোজেন শোল্ডার। যদিও চিকিৎসক দেবাঞ্জলি রায় জানিয়েছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে ফ্রোজেন শোল্ডার বলে কোনও শব্দ নেই। টানা তিন-চারদিন ধরে ঘাড় ব্যথা মানেই তা ক্রনিক ব্যথার দিকে এগোচ্ছে।
[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন ছবি বিধাননগরে! বুথে তৃণমূল ও বিজেপির মহিলা প্রার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি]
বেশি বয়স মানেই হাঁটুতে, কোমরে ব্যথা– এমন ধারণাকে দশ গোল দিচ্ছে অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞদের চেম্বার। স্কুল পড়ুয়াদেরও মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অনলাইন পড়াশোনায় এক জায়গায় বসে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ। তাতেই ঘনাচ্ছে বিপদ।
ডা. দেবাঞ্জলি রায়ের কথায়, “যদি দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করতে হয়, সেক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে ২-৩ মিনিটের জন্য ‘ব্রেক’ নিয়ে একটু হেঁটে আসতে হবে। ৩ ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে শরীরের ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা এক ধাক্কায় প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরের ফ্যাট ঝরানোর উৎসেচকের ক্ষরণ প্রায় ৯০ শতাংশ কমে যায়। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে ঘাড়ে, কোমরে বা পিঠে ব্যথা বাড়বে। ব্যথা হলেই শিশুদের পেনকিলার দিতে বারণ করছেন চিকিৎসকরা। তার পরিবর্তে ব্যায়ামের মাধ্যমেই ব্যথা কমানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।