shono
Advertisement

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মোবাইল ব্যবহারে পড়ুয়াদের ‘মার’শিক্ষকদের, জীবনতলার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ধুন্ধুমার

ছাত্রদের বিরুদ্ধেও উঠেছে পালটা স্কুল ভাঙচুরের অভিযোগ।
Posted: 10:37 AM Nov 10, 2022Updated: 10:37 AM Nov 10, 2022

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ছাত্রদের ফোন ব্যবহারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার জওহর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়। ছাত্রদের মারধর করার অভিযোগ উঠল আবাসিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। পালটা ছাত্রদের বিরুদ্ধেও উঠেছে স্কুল ভাঙচুরের অভিযোগ। এই ঘটনায় জখম অন্তত ৩০-৩৫ জন ছাত্র। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

বুধবার রাতে ফোন ব্যবহারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় জওহর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যে ফোন ব্যবহার করা যাবে না। আবাসিক পড়ুয়ারাও মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। অভিযোগ, সেই নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কিছু ছাত্রছাত্রী মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। জওহর কেন্দ্র নবোদয় বিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবি, ছাত্রদের কাছ থেকে ৩৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের র‌্যাগিং, দৃষ্টিহীন ছাত্রকে হেনস্তার অভিযোগ প্রাক্তন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে]

পড়ুয়াদের দাবি, মোবাইলগুলি উদ্ধার করার পর সেগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু ফোনকে জলে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফোন ভাঙচুর করার পর শিক্ষকরা আলো নিভিয়ে একপ্রস্থ বেধড়ক মারধর করে বলেও অভিযোগ। তার ফলে কমপক্ষে ৩০-৩৫ জন পড়ুয়া আহত হয়েছে। যাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নলমুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাতের দিকে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হয়। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন ছাত্র বেঞ্চ, টেবিল ভাঙচুর করতে থাকে। স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবকও স্কুলের সামনে পৌঁছন। বৃহস্পতিবার সকালেও আরও বেশ কয়েকজন অভিভাবক স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান।

এ বিষয়ে প্রতিবেশী মহিদুল ইসলাম ঢালি বলেন, “আমরা সন্ধেবেলায় নবোদয় বিদ্যালয়ের ভিতর থেকে আর্তনাদ শুনতে পাই। এরপর গ্রামবাসীরা ছুটে যাই। গিয়ে দেখি ছাত্রদেরকে পশুর মতো মারধর করা হচ্ছে। শিক্ষকরা তাদেরকে গালাগালিও করছে। আমরা আটকাতে যাই। তবে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পরে অবশ্য আমরাই গিয়ে উদ্ধার করি। পুলিশকে খবর দিই।”

অভিভাবক শতদল মণ্ডলের অভিযোগ, ফোন ব্যবহারটা শুধু একটু অজুহাত মাত্র। স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষকের আচার-আচরণ এবং ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ। সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় বলেই মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, “শিক্ষকরা ছাত্রদের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে তা কোনওমতেই শিক্ষকসুলভ হতে পারে না। অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছে ছোট ছোট ছাত্রদের উপর। এখানকার প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষকরা একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছ স্কুলের মধ্যে। প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ আছে এই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এলাকার কোনও জনপ্রতিনিধিকে স্কুল কমিটিতে রাখা হয়নি যেটা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত।”

[আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দুর গাড়ি করে বিপুল টাকা ও বেআইনি অস্ত্র ঢুকছে নন্দীগ্রামে’, বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement