দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পোষ্য সারমেয়কে নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে চূড়ান্ত মতবিরোধ। কুকুরপ্রিয় প্রেমিকার কাছে ফোনে ওই প্রতিবেশীর কথা শুনেছিল যুবক। প্রেমিকার কান্নাকাটিতে কুকুর বিরোধী প্রতিবেশীর প্রতি চূড়ান্ত আক্রোশ তৈরি হয়। সে কারণে চেন্নাই থেকে সোজা সোনারপুরে চলে আসে আইআইটির ছাত্র। রাতের অন্ধকারে প্রতিবেশীর পরিবারের উপর চড়াও হয়ে ধারাল অস্ত্রের কোপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। সোনারপুরে বিজেপি কর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর হামলায় ঘটনায় অর্চন ভট্টাচার্য নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জখম গোবিন্দ অধিকারী, সোনারপুরের চৌহাটির সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসাবেই পরিচিত। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পোলিং এজেন্টও ছিলেন তিনি। ওই বিজেপি কর্মী একেবারেই কুকুর প্রেমী নন। তাঁর বাড়িতে একদিন একটি পথকুকুর ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, ওই সারমেয়কে মারধর করেন গোবিন্দ। তা নিয়ে পশুপ্রেমী প্রতিবেশী সুভাষ দেবনাথের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন গোবিন্দ। তা নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত। চেন্নাইতে বসে সে খবর প্রেমিকার মারফত আইআইটি পড়ুয়া অর্চন ভট্টাচার্য পায়। এই খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ বাড়ি ফিরে আসে সে।
[আরও পড়ুন: পরকীয়া লুকোতে স্ত্রী-সন্তান-সহ ভাসুরকে ‘খুন’, বোলপুর কাণ্ডে আটক ভাইয়ের স্ত্রী]
বাড়ি ফিরেই শুরু হয় 'অ্যাকশন'। সারমেয়কে নিয়ে অশান্তিকে কেন্দ্র করেই রক্তারক্তি কাণ্ড। অভিযোগ, অর্চন ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। সস্ত্রীক বিজেপি কর্মী এবং তাঁদের ছেলের উপর হামলা চালায়। আহত অবস্থায় ওই তিনজনকে উদ্ধার করে সোনারপুর থানার পুলিশ। তিনজনকে উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা। পুলিশ অর্চনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে চেন্নাই আইআইটির প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। বিজেপি কর্মীর মেয়ে স্মৃতির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।