সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ উপলক্ষে দিল্লি এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina)। রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের সেই অনুষ্ঠান সেরে সোমবার পুরানো 'বান্ধবী' সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘদিন পর এই মুখোমুখি সাক্ষাতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন দুজনেই। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস চেয়ারপার্সনের এই মৈত্রীর ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়।
শনিবার ভারতের এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সোনিয়া গান্ধী(Sonia Gandhi)। বর্তমানে দিল্লির আইটিসি মৌর্য হোটেলে রয়েছেন তিনি। সোমবার দুপুরে সেখানেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। হোটেলে দুই সন্তান-সহ সোনিয়াকে দেখে আনন্দে জড়িয়ে ধরেন তিনি। তিন জনের সঙ্গেই কুশল বিনিময় করেন শেখ হাসিনা। সূত্রের খবর, দীর্ঘক্ষণ খোশমেজাজে গল্পও করেন তারা। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে এর পর ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম, ধসের জেরে মৃত ৩, নিখোঁজ বহু]
এদিন হাসিনা সাক্ষাতের পর সোশাল মিডিয়ায় সে কথা প্রকাশ্যে আনেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি জানান, আজ দুপুরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী, ও কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিশ্বাস, সহযোগিতা এবং পারস্পরিক উন্নতির প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে ভারত ও বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সেই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: বিজেপির পছন্দ দগ্গুবতী, টিডিপিও নাছোড়! স্পিকার পদ নিয়ে এনডিএতে শুরু দড়ি টানাটানি]
উল্লেখ্য, কংগ্রেস ক্ষমতায় না থাকলেও গান্ধী পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যক্তিগত সম্পর্ক শেখ হাসিনার। ভুললে চলবে না সোনিয়ার শাশুড়ি ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানের নাগপাশ থেকে স্বাধীন করেছিলেন বাংলাদেশকে। এমনকী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা ও তার এক বোনের নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থা করেছিল ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। সেই সুবাদেই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে হাসিনার সম্পর্ক আত্মীয়ের মতো। এবং তা আজও অটুট। ফলে যত বারই তিনি ভারতে এসেছেন চেষ্টা করেছেন গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের। এবার দিল্লি এসে সে সুযোগ হাতছাড়া করলেন না বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর।