সৈকত মাইতি, তমলুক: জেলা সভাপতি পদ খেকে সরিয়ে রাজ্য সম্পাদক পদে আনা হল প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রক। তৃণমূলের তমলুক (Tamluk) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে ছিলেন তিনি। প্রাক্তন মন্ত্রীকে রাজ্য সম্পাদক করা হল। এদিকে জেলা সভাপতি পদে এলেন অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার তমলুকের চেয়ারপার্সন পদ থেকে নন্দীগ্রামের পীযুষকান্তি ভুঁইয়াকে সরিয়ে নিযুক্ত হলেন তমলুকের বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা চিত্তরঞ্জন মাইতি।
সৌমেন মহাপাত্র একসময় তৃণমূল সরকারের একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। পরে তাঁকে দল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সংগঠনের দায়িত্ব দেয়। সেই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় রদবদলের মধ্যেই তমলুকেও পরিবর্তন হয়েছে। যা নিয়ে সৌমেনবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “আমি তৃণমূলের অনুগত সৈনিক। প্রথম থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছি। যখন দল যে দায়িত্ব দিয়েছে সেই কাজ সামলানোর জন্য ১০০ শতাংশ দিয়েছি। আগামিদিনে দল যে কাজে আমাকে লাগাবে, আমি সেই কাজই করব। নতুনভাবে যাঁরা জেলার দায়িত্ব পেলেন তাঁদের পাশে আমি রয়েছি। কে দায়িত্ব পেয়েছেন, সেটা বিষয় নয়, দল আরও শক্তিশালী হোক, সবাই মিলে সেটাই দেখতে হবে।” তিনি বলেন, “জেলার ব্লক থেকে বুথস্তর পর্যন্ত সংগঠন শক্তিশালী করার জন্য আগামী দিনে দল যে দায়িত্ব দেবে আমি সেটাই পালন করব। পদ নিয়ে ভাবি না।”
[আরও পড়ুন: কেন তৃণমূল নেতাকে খুন? গণপিটুনিতে অভিযুক্তর মৃত্যুর ঠিক আগের ভিডিও ভাইরাল]
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলাস্তরে ব্যাপক রদবদল করে শাসকদল স্বচ্ছ ভাববমূর্তিকেই অগ্রাধিকার দিতে চেয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কিন্তু শাসকদলের ঘনিষ্ঠ মহল বলছে যে এটা রুটিন রদবদল, নেতৃত্ব এখনও ভরসা রাখে সৌমেনের উপর। তাই তাঁকে রাজ্য সম্পাদক পদে আনা হল।