সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭ মার্চ বাংলায় বিজেপির ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে কি একই মঞ্চে দেখা যাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্যে উসকে গেল এমনই জল্পনা। তবে একা বাংলার মহারাজই নন, জানা যাচ্ছে ব্রিগেডে উপস্থিত থাকতে পারেন সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও।
গত কয়েক মাস ধরেই সৌরভের গেরুয়া শিবিরে যোগদানের জল্পনা চলছে। মাঝে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে তাঁর আচমকা সাক্ষাৎ সেই জল্পনায় ঘি ঢেলেছিল। যদিও সৌরভ তখন জানিয়েছিলেন, সেই সাক্ষাৎ সম্পূর্ণ সৌজন্যমূলক। এরপরই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যও প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ফোনে সৌরভের খোঁজ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরাও। ফলে তখনও ‘দাদা’র রাজনীতিতে যোগদানের জল্পনা জিইয়েই ছিল। এবার শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্যে মোদির সভায় সৌরভের উপস্থিতির ইঙ্গিত মিলল। মহারাজের ব্রিগেডে থাকা নিয়ে বিজেপির মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “শুনেছি উনি বিশ্রামে আছেন। ওয়ার্ম আপের জন্য নেট প্র্যাকটিসে এলে আসতেই পারেন।”
[আরও পড়ুন: মালদহে চেনা ‘বিভাজনে’র পিচেই ব্যাট যোগীর, উঠল দুর্গাপুজো-লাভ জেহাদ-গোহত্যা প্রসঙ্গ]
সৌরভের পাশাপাশি ব্রিগেডে থাকার কথা দুই তারকা মিঠুন চক্রবর্তী ও প্রসেনজিতেরও। গত মাসেই মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) মুম্বইয়ের বাংলোয় হাজির হয়েছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ভোটের মুখে এই সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। যদিও অভিনেতা দাবি করেন, এই বৈঠক অরাজনৈতিক। এদিকে, নির্বাচনী আবহে টলিউডের ‘মিস্টার ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সাক্ষাৎ নিয়েও জোর আলোচনা শুরু হয়। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি অভিনেতার হাতে নিজের লেখা বই ‘অমিত শাহ অ্যান্ড দ্য মার্চ অফ বিজেপি’ তুলে দেন অনির্বাণ। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন প্রসেনজিৎ? সেই জল্পনা অবশ্য নস্যাৎ করে দেন তিনি।
তবে ভোটের আগে যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলিতে তারকার সমাবেশ চোখে পড়ছে, তাতে বাংলার তিন জনপ্রিয় সেলিব্রিটির রাজনীতির আঙিনায় পা রাখার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ৭ মার্চ মোদির ব্রিগেডে কী সমীকরণ দাঁড়ায়, সেটাই এখন দেখার।