সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগুনে গরমে পুড়ছে গোটা দেশ। ফুটিফাটা মাটি। ভয়ংকর তাপপ্রবাহে শুকিয়ে যাচ্ছে খাল-বিল-নদী-পুকুর। গরম যত বাড়ছে, তত দেখা দিচ্ছে পানীয় জলের সংকট। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে একই পরিস্থিতি হলেও সবচেয়ে অস্বস্তিতে দক্ষিণ ভারত। কারণ সেখানে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর ক্রমশ কমছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় জল কমিশনের (Central Water Commission) প্রকাশিত রিপোর্টে সামনে এসেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ ভারতের জলাধারগুলির জলের স্তর ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। বিগত ১০ বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে কম।
প্রযুক্তির রাজধানী বেঙ্গালুরুর জলসংকট এখন গোটা ভারতের জানা। সেখানে নাগরিকদের একাংশকে জল কিনে খেতে হয়েছিল। এক বালতি জলের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল নাগরিকদের। এমনকী জল নষ্ট বন্ধ করতে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল পুরসভা। বর্তমানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বিপদের কালো মেঘ যে কাটেনি, তা বুঝিয়ে দিল কেন্দ্রীয় জল কমিশনের রিপোর্ট। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে তীব্র জলসংকট দেখা দেবে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, কেরল এবং তামিলনাড়ুতে। কারণ স্পষ্ট।
[আরও পড়ুন: তিরন্দাজি বিশ্বকাপে সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক, ফের বিশ্বমঞ্চে ভারতের জয়জয়কার]
দক্ষিণ ভারতের ৪২টি জলাধারে বর্তমানে মোট ৫৩.৩৩৪ বিলিয়ন বর্গ মিটার (BCM) জল থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে রয়েছে মোটে ৮.৮৬৫ বিসিএম। যা মোট ধারণ ক্ষমতার মাত্র ১৭ শতাংশ। গত বছর ছিল ২৯ শতাংশ। কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এর প্রভাব পড়বে দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে। ভূগর্ভস্থ জলের স্তর কমতে থাকায় সেচ এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদন হোঁচোট খাবে। পাশাপাশি পানীয় জলের সংকট দেখা দেবে।
[আরও পড়ুন: ‘কল্যাণদার জন্যই আমাদের বিয়েটা হয়েছে’, কাঞ্চনকে ‘অপমান’ নিয়ে মুখ খুললেন শ্রীময়ী]
কমিশনের রিপোর্টে বাংলা তথা পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যের জন্য আশার কথা বলা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলে মজুত জলের ভাণ্ডারে উন্নতি হয়েছে। সেখানে ২৩টি জলাধারের মোট ধারণ ক্ষমতা হল ২০.৪৩০ বিসিএম। বর্তমানে রয়েছে ৭.৮৮৯ বিসিএম। যা ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৩৯ শতাংশ। গতবছর যা ছিল ৩৪ শতাংশ। গুজরাট, মহারাষ্ট্র-সহ পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর এবং মধ্যাঞ্চলের জলাধার নিয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই অঞ্চলগুলিতে জলের স্তর আগের বছরের তুলনায় কমেছে।