সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর ৭১ শতাংশ জল আর মহাসাগরের সংখ্যা চার। ভূগোলে বিরাট পারদর্শী যাঁরা নন, এ কথা মোটামুটি তাঁদেরও জানা। কিন্তু এই সংখ্যাটাই এবার একটু ‘আপডেট’ করতে হবে। এই গ্রহে মহাসাগরের সংখ্যা আর চার নয়। এবার থেকে পাঁচটি। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক (Nat Geo) সোসাইটি বর্তমানে ‘সাদার্ন ওশেন’ তথা দক্ষিণ মহাসাগরকে এই পৃথিবীর পঞ্চম মহাসাগর হিসাবে চিহ্নিত করেছে। দক্ষিণ মহাসাগরকে (Southern Ocean) অ্যান্টার্কটিক মহাসাগর তথা অস্ট্রাল মহাসাগরও বলা হয়।
৮ জুন, বিশ্ব মহাসাগর দিবসের দিনই এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সোসাইটি ১৯১৫ সাল থেকে মানচিত্র তৈরি করছে। এবং এখনও পর্যন্ত মানচিত্রগুলিতে আটলান্টিক, প্রশান্ত, ভারত মহাসাগর এবং আর্কটিক ওশেন তথা উত্তর মহাসাগরের নাম রয়েছে। এবার সেই হিসেব বদলে যাচ্ছে। তবে রাতারাতি নয়, ১৩০ বছর ধরে এ নিয়ে গবেষণার পরই এই স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নাসার চন্দ্রাভিযানে বড় দায়িত্বে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার, কোয়াম্বাটুরের কন্যাকে নিয়ে গর্বিত দেশ]
ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সোসাইটির পাশাপাশি দক্ষিণ মহাসাগরকে, পঞ্চম মহাসাগর হিসাবে চিহ্নিত করেছে ইউএস বোর্ড অন জিওগ্রাফিক নেমসও। এর বিস্তৃতি অ্যান্টার্কটিকা উপকূল থেকে ৬০ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ পর্যন্ত।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির ভৌগোলিক অ্যালেক্স টেইট জানিয়েছেন, “আন্তর্জাতিকভাবে চুক্তি না হওয়ায় আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে একে মহাসাগরের স্বীকৃতি দিতে পারিনি। তবে দক্ষিণ মহাসাগর দীর্ঘকাল ধরেই বিজ্ঞানীদের দ্বারা স্বীকৃত।”
আসলে দীর্ঘ দিন ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে তর্ক ছিল। অ্যান্টার্কটিকার চারপাশে বিপুল জলরাশিকে মহাসাগর হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। ২০০০ সালে প্রথম এই মহাসাগরের সীমানা চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু সব দেশের সম্মতি না মেলায় এতদিন মহাসাগরের স্বীকৃতি অধরাই ছিল। অবশেষে মিলল সেই কাঙ্ক্ষিত স্বীকৃতি।