স্টাফ রিপোর্টার: আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ, তার বিচার করবে আদালত। সে ব্যাপারে তাঁর কিছু করার নেই। আইন চলবে আইনের পথে- আরও একবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। বললেন, “অতজন পুলিশ অফিসারকে মারা হল প্রকাশ্যে। একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তির নেতৃত্বে এই ধরনের ঘটনা ঘটল। অত্যন্ত নিন্দনীয় অপরাধ করেছেন উনি। আইন আইনের পথে চলবে। বিচারপতিরা রয়েছেন। তাঁরা বিচার করে দেখবেন।”
শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও একবার এ প্রসঙ্গে আইনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ। এ সম্পর্কে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে তাঁর কিছু প্রতিক্রিয়া সামনে আসে। সে সম্পর্কে অধ্যক্ষ এদিন জানিয়েছেন, “আমার বক্তব্যকে অনেক সংবাদপত্রে একটু অন্যরকমভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। কিন্তু আমি বলব, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। তিনি বিধায়ক হতে পারেন বা যে কেউ হতে পারেন। বিধায়ক বলে কেউ যে বিশেষ সুবিধা পাবেন সেটা ভাবার কিছু নেই।” এর পরই খুব স্পষ্টভাবে নওশাদ (Nawsad Siddique) প্রসঙ্গে আরও একবার নিজের মনোভাব জানিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, “কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। একজন জননেতার নেতৃত্বে যে ঘটনা সেদিন ঘটেছে কলকাতার রাজপথে, অত পুলিশ অফিসারের উপর অত্যাচার হয়েছে, সেটা বাঞ্ছনীয় নয়। বিচারপতিরা এটা বিচার করে দেখবেন।”
[আরও পড়ুন: বর্ধমানে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক, ‘আমি তোমাদের মতোই চাষি’, ধন্যবাদ জানিয়ে বার্তা রাজ্যপালের]
আইন বিধায়ক না সাধারণ মানুষ, তা দেখে না। অপরাধের সমান বিচার করে। এ কথা জানিয়ে অধ্যক্ষ একইসঙ্গে বলেন, “আরও দু’জন বিধায়ক জেলে রয়েছেন। বিধায়ক বলে তাঁকে (নওশাদ সিদ্দিকি) সুবিধা করে দেওয়ার জন্য কিন্তু আমি কোনও বক্তব্য রাখিনি। এটার যেন কোনও বিকৃত অর্থ কেউ না করে।” বারবার তিনি বলে দিয়েছেন, “খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, নওশাদের ক্ষেত্রেও আইন আইনের পথে হাঁটবে।” চলতি বিধানসভায় কিছু বিল পাশ হয়েছে। পুরনো একাধিক বিলও রাজ্যপালের কাছে রয়েছে।
সে প্রসঙ্গে অধ্যক্ষের বক্তব্য, “অনির্দিষ্টকালের জন্য বিল ফেলে রাখা যায় না। তাতে তার গুরুত্ব হারিয়ে যায়। রাজ্যপালের কাছে সমস্ত বিল পাঠানো হয়েছে। আগের বিলও রয়েছে। রাজ্যপাল নিশ্চয়ই গুরুত্ব দিয়ে এগুলোর অনুমোদন দেবেন।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই অধিবেশনে অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অধ্যক্ষ।