ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নবনির্বাচিত চার বিধায়কের শপথ-জট এড়াতে পুরোপুরি প্রস্তুত বিধানসভা। তা নিয়ে যাতে আগেরবারের মতো জটিল পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য আগেভাগেই রাজভবনে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে। পালটা রাজভবনও আগের শপথ নিয়ে তিন প্রশ্নের জবাব চেয়ে পাঠায়। আর বৃহস্পতিবার তারই জবাবি চিঠি পাঠালেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে হয়েছিল, তা সবিস্তারে জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে। সূত্রের খবর, নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণে রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ নেবেন, সেই ভরসায় না থেকে নিজেদের মতো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বিধানসভা।
উপনির্বাচনে জয়ী চার বিধায়কের শপথ নিয়ে আর কোনও জটিলতা চায় না বিধানসভা (WB Assembly)। সেই কারণে আগেভাগেই স্পিকারের নির্দেশে রাজভবনে এনিয়ে চিঠি দিয়েছিল বিধানসভার সচিবালয়। তার পালটা রাজভবনের তরফে তিন প্রশ্নের মাধ্যমে আগের শপথ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। শুক্রবার সেই চিঠির জবাব দিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, কোন পরিস্থিতিতে সায়ন্তিকা আর রেয়াতের শপথ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিধানসভার পরিষদীয় রীতির কথা উল্লেখ করেছেন স্পিকার (Speaker)। তাতে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল ডেপুটি স্পিকারকে শপথ পাঠের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু রীতি অনুযায়ী, অধিবেশন চলাকালীন স্পিকার সেখানে থাকলে ডেপুটি স্পিকার শপথ (Oath Ceremony) পড়াতে পারেন না। তাই সেই নিয়ম মেনে স্পিকারকেই বিধায়কদের শপথের দায়িত্ব তুলে দেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দায়িত্ব পালন করেছেন।
[আরও পড়ুন: অবশেষে দৃষ্টিগোচর! প্রকাশ্যে বিশ্বের সর্বাধিক বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের বিরল ছবি]
সূত্রের খবর, এই চিঠির পর আর নতুন ৪ বিধায়কের(MLA) শপথ নিয়ে আর কিছু জানানো হয়নি রাজভবনের (Raj Bhawan)তরফে। ফলে চলতি অধিবেশনের শুরুতেই সেই পর্ব মিটিয়ে ফেলতে চাইছে বিধানসভার সচিবালয়। গত ১০ তারিখের উপনির্বাচনে চার নতুন বিধায়ক পেয়েছে মানিকতলা, রানাঘাট দক্ষিণ, রায়গঞ্জ ও বাগদা। সকলেই তৃণমূলের (TMC)। তাঁদের শপথ নিয়ে যাতে সায়ন্তিকা-রেয়াতের মতো সময় নষ্ট না হয়, সেই কারণে গোড়া থেকে তৎপর বিধানসভা। আগামী ২২ জুলাই থেকে বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হবে। সেই অধিবেশনেই শপথ পর্ব মিটতে পারে।