সুব্রত বিশ্বাস: শিয়ালদহ থেকে নামখানা পৌঁছতে এখন যা সময় লাগে, তার থেকে প্রায় পঁচিশ মিনিট কম সময়ে পৌঁছে যাবে ট্রেন। শুধু নামখানা নয়, কম সময়ে পৌঁছনো যাবে লালগোলাতেও। এরপর একে একে শিয়ালদহের অন্য শাখাগুলিতে কম সময়ে পৌঁছনোর সব পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা করছে সংশ্লিষ্ট ডিভিশন।
শিয়ালদহের ডিআরএম (DRM) এস পি সিং বলেন, এখন ডিভিশনের সব লাইনের গতি ধারণক্ষমতা প্রতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। অর্থাৎ ওই গতির চেয়ে বেশি দ্রুত ছুটতে পারে না ট্রেনগুলি। লাইনের ক্ষমতা বাড়িয়ে ঘণ্টায় ট্রেনের গতি ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার করা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যেই এই গতি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: আনিস খান হত্যাকাণ্ড: নিহত ছাত্রনেতার বাবাকে নবান্নে ডেকে পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী]
ট্রেনের গতি বাড়লে সময় কম লাগবে গন্তব্যে পৌঁছতে। তবে এই কারণে বর্তমান টাইম টেবিলের (Time Table) সময়ও এগিয়ে আনতে হবে বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ বদলে যাবে টাইম টেবিলও। সম্প্রতি পূর্ব রেলের জিএম (GM) অরুণ অরোরা শিয়ালদহ ডিভিশনকে ট্রেনের গতি বাড়ানোর জন্য যাবতীয় পরিকাঠামো উন্নয়ন তড়িঘড়ি কার্যকর করতে বলেছেন।
‘ইন্টার সেকশন স্পিড’ (Inter Section Speed) অর্থাৎ এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনের মধ্যে গতি বাড়ানো হবে। এখন সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা । যা ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা করা হবে। এজন্য লাইনের পাত ও স্লিপারের বদল ঘটানো হয়েছে। লাইনের বাঁক ৮.৫ ডিগ্রি থেকে বাড়িয়ে ১২ ডিগ্রি করা হয়েছে অনেক জায়গায়। এই অংশগুলির জন্য কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির ছাড়পত্র নেওয়া হবে। অনুমোদন পেলেই গতি বাড়ার ক্ষেত্রে তা অধিক কার্যকর হবে।
[আরও পড়ুন: ‘বুথ দখল করলে, ইভিএম ভাঙব’, পুরভোটের প্রচারে বেলাগাম অর্জুন সিং, পালটা কুণালের]
লোকাল ট্রেনের গতির পাশাপাশি মালগাড়ির গতিও বাড়ানো হবে ওই ডিভিশনে। পাশাপাশি পণ্য বহনের উপর জোর দেওয়া হবে। বিভিন্ন জেলা থেকে অধিক পরিমাণে ভোগ্যপণ্য যাতে ট্রেনে যেতে পারে, সেজন্য জেলাগুলিতে গিয়ে মার্কেটিংও করবেন রেলের আধিকারিকরা।