স্টাফ রিপোর্টার: দিন কয়েক আগেই কোচের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিলেন এক ভারতীয় সাইক্লিস্ট। যার জেরে ওই কোচকে বরখাস্তও করা হয়েছে। এবার সেলিংয়ের দুনিয়াতেও পড়ল সেই ছায়া। যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুললেন এক মহিলা সেলর। তাঁরও সেই একই অভিযোগ, জার্মানিতে প্র্যাকটিসে থাকাকালীন কোচ ‘অভব্য আচরণ’ করেছেন। ফেডারেশনকে সবিস্তারে জানিয়েছিলেন সেই অভিযোগকারী। তবু নাকি কর্ণপাত করেনি ফেডারেশন। এই ব্যাপারটা নিয়ে ফেডারেশনের কাছে পুরো বিষয়টা জানতে চেয়েছে সাই।
ইয়াচিং অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (Yachting Association of India) কাছে অভিযোগকারী বেশ কয়েকবার গিয়েছিলেন। কিন্তু ফেডারেশন কর্তারা এই বিষয়ে কোনও কর্ণপাত করার প্রয়োজন মনে করেননি। তাই বাধ্য হয়ে সাইয়ের (SAI) দ্বারস্থ হন মহিলা সেলর। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে সাই।
[আরও পড়ুন: কলা কেনার খরচ ৩৫ লক্ষ, অথচ ক্রিকেটারদের ভাতা ১০০ টাকা! চরম বেনিয়ম উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থায়]
ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছে অভিযোগকারীর বক্তব্য সঠিক কি না। অর্থাৎ মহিলা সেলর আগেই কোচ সম্পর্কে ফেডারেশনকে অবহিত করেছিলেন কি না। যদি সত্যি মহিলা সেলর গিয়ে থাকেন তাহলে ফেডারেশন কেন গুরুত্ব সহকারে বিষয়টা দেখেনি? “একজন মহিলা সেলর কোচের বিপক্ষে সাইয়ের কাছে অভিযোগ করেছেন। তাঁর মূলত অভিযোগ হল, জার্মানিতে এক্সপোজার সফরের সময় একজন কোচ তাঁকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টা নিয়ে ফেডারেশনের কাছে অনেক আগেই কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তবু ফেডারেশন বিষয়টা শুনে চুপচাপ থেকে যায়। তাই বাধ্য হয়ে সাইয়ের দ্বারস্থ হয়েছে।”
মহিলা সেলর অভিযোগপত্রে এসব তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন সাইয়ের এক অধিকর্তা। বিষয়টা গুরুতর বুঝতে পেরে ফেডারেশনের কাছ থেকে সবিস্তার জানতে চেয়েছে সাই। এখন দেখার কোথাকার জল কোথায় গিয়ে ঠেকে। বিশেষ করে মহিলা সাইক্লিস্টের পর মহিলা সেলর একই অভিযোগ করায় এখন দেখার সরকার এই ব্যাপারগুলো কীভাবে সমাধান করে।