সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোটের জন্য এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন ভারতীয় দলের সেরা পেসার জশপ্রীত বুমরাহ। পাকিস্তানের কাছে সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় অ্যাডভান্টেজ। কিন্তু বুমরাহর অনুপস্থিতি অনুভবই করতে দিলেন না ভুবনেশ্বর কুমার এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া। তাঁদের ঝোড়ো বোলিংয়ের সামনে কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল পাক ব্যাটিং অর্ডার। ফলে রোহিতদের (Rohit Sharma) বিরুদ্ধে বিরাট রানের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারলেন না বাবররা।
গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল বাবর-রিজওয়ান জুটি। পাকিস্তানের দাপটের সামনে তছনছ হয়ে গিয়েছিল বিরাট কোহলির (Virat Kohli) বিশ্বজয়ের স্বপ্ন। গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যায় ভারত। এদিন ফের বাবর ও রিজওয়ান দুবাইয়ের ২২ গজে নামতে ভারতীয় সমর্থকদের চোখে ভেসে ওঠে সেদিনের স্মৃতি। কিন্তু সেদিনের পুনরাবৃত্তি এদিন ঘটেনি। ১০ রানেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক বাবর।৪৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন রিজওয়ান। দলের আরেক বিশ্বস্ত ব্যাটার ফকর জামানও (১০) এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ। বাবরের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি তুলে নিয়ে প্রথমেই দলের আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়ে দেন ভুবি। আর ফকরকে আউট করে ভারতের কাজ আরও সহজ করে দেন আবেশ খান।
[আরও পড়ুন: দুর্নীতিতে জর্জরিত তৃণমূল, ক্ষোভ উগরে দল ছাড়লেন ত্রিপুরার রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি]
৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন ভুবনেশ্বর। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে আগুনে ফর্মে ধরা দিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিকও। হাত ঘুরিয়ে তুলে নেন তিনটি উইকেট। জোড়া উইকেট পান অর্শদীপ সিং।
মিডল অর্ডার ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন ইফতিকার আহমেদ। তবে স্লগ ওভারে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন হ্যারিস রউফ। কিন্তু ১৫০ রানের আগেই ১ বল বাকি থাকতে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। যদিও রবীন্দ্র জাদেজা এবং রোহিত শর্মা শেষের দিকে দুটি ক্যাচ হাতছাড়া না করলে আরও আগে আটকে দেওয়া যেত পাক দলকে। উল্লেখ্য, টসে জিতে পরে ব্যাট করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৯বার জিতেছে ভারত। এবার দেখার, এদিন মধুর প্রতিশোধ নিয়ে সেই সংখ্যা রোহিতের ভারত বাড়াতে পারে কি না।