ফ্রান্স–২ ডেনমার্ক–১
(এমবাপে-২) (ক্রিশ্চেনসেন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) শুরুর আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন করিম বেঞ্জিমা। পল পোগবা, এনগোলো কন্তেকে ছাড়াই বিশ্বকাপে নেমেছেন ফ্রান্সের (France) কোচ দিদিয়ের দেশঁ। তাঁর হাতের তুরুপের তাস একজনই। তিনি এমবাপে। যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন তিনি। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ম্যাচে জয়ের নায়ক তিনিই। এমবাপে এগিয়ে দিলেন ফ্রান্সকে। আবার ডেনমার্ক যখন সমতা ফিরিয়ে এনেছে, সবাই মনে করছে ম্যাচ হয়তো ড্রয়ের কোলে ঢলে পড়বে, তখনই মোক্ষম আঘাত করলেন বহু যুদ্ধের সৈনিক এমবাপে।৮৬ মিনিটে তিনি নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। সেই গোলের পর ডেনমার্ক আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। দু’ ম্যাচে দুটো জয়। ফ্রান্স পৌঁছে গেল নক আউট পর্বে। প্রথম দল হিসেবে নক আউট পর্বে চলে গেল দিদিয়ের দেশঁর দল।
প্রথমার্ধ দেখে যদি মনে হয় বিবর্ণ, ফ্রান্স-ডেনমার্ক ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ রং ছড়িয়ে গেল। এমবাপে একটা সাধারণ ম্যাচকে অন্য মাত্রা দিয়ে গেলেন। বাঁ দিক থেকে তাঁর এঁকেবেঁকে দৌড়ের উত্তর জানা ছিল না ডেনমার্কের ডিফেন্ডারদের কাছে। গতি, সেই সঙ্গে স্কিল এমবাপেকে পৌঁছে দিয়েছে অন্য এক গ্রহে। এদিন যেমন ৬১ মিনিটে প্রথম গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বাঁ দিক থেকে হার্নান্দেজ ও এমবাপের যুগলবন্দি ফুল ফোটাল। হার্নান্দেজের থেকে বল পেয়ে এমবাপে যখন শট মারতে উদ্যত, তখন তাঁর সামনে দু’ জন ড্যানিশ ডিফেন্ডার। এমবাপের টোকায় বল ডেনমার্কের জালে। স্কিমিচেল শরীর ছুঁড়েও সেই বলের নাগাল পাননি।
[আরও পড়ুন: ম্যাচ চলাকালীন অন্তর্বাসে হাত, বিতর্কিত মুহূর্তে রোনাল্ডো মনে করালেন জোয়াকিম লো’কে]
ডেনমার্ক সমর্থকদের বিখ্যাত কোরাস, ”উই আর রেড, উই আর হোয়াইট, উই আর ড্যানিশ ডিনামাইট।” ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচেও সেই কোরাস নিশ্চয়ই শোনা গিয়েছিল স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ। পিছিয়ে পড়ে বারবার ফিরে আসাই তো ডেনমার্কের ফুটবল। এদিনও ফ্রান্স গোল করার পরে ডেনমার্ক দেখিয়েছিল মরিয়া ফুটবল। ফ্রান্সের গোলমুখে একাধিকবার আক্রমণ হেনেছিলেন এরিকসেনরা। ফ্রান্সের রক্ষণ কেঁপে গিয়েছিল। এমবাপের গোল বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ফ্রান্স। ৬৮ মিনিটেই ক্রিশ্চিনসেন সমতা ফেরান ডেনমার্কের হয়ে।
এর পর গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল দু’ দলই। গ্রিজম্যানের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। র্যাবিওটের ভুলেই গোল হজম করেছিল ফ্রান্স। আবার তিনিই দারুণ এর ভলি নিয়েছিলেন।পায়ে ও বলে ঠিকঠাক সংযোগ না হওয়ায় সেই যাত্রায় লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গোলটি হয়ে গেলে রিচার্লিসনের মতোই তিনিও শিরোনাম হতে পারতেন। ফরাসি কোচ দেশঁর চিন্তা দূর করেন সেই এমবাপে। ৮৬ মিনিটে তিনিই জয়সূচক গোলটি করেন।এমবাপের দাপটেই ফ্রান্স পরের রাউন্ডে।
[আরও পড়ুন: শ্রদ্ধাকে খুনের পর মনোবিদ তরুণীর সঙ্গে ডেটিং, তাঁকে ফ্ল্যাটে এনেছিল আফতাব, দাবি পুলিশের]