গুজরাট: ২৮৩/৯ (প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চাল ১০১, উমঙ্গ ৬৫, সুমন ২/৪৮, প্রদীপ্ত ২/৫১)
বাংলা: ২৮৬/২ (সুদীপ ১১৭*, অনুষ্টুপ ১০২*)
বাংলা ৮ উইকেটে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বলে দাপুটে কামব্যাক। সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন সুদীপ ঘরামি (Sudip Gharami) ও অনুষ্টুপ মজুমদার (Anustup Majumdar)। ২৮৪ রান তাড়া করতে নেমে চাপে পড়লেও, দলের অধিনায়ক এবং বহু যুদ্ধের নায়ক অনুষ্টুপের জোড়া সেঞ্চুরির উপর ভর করে গুজরাটকে (Gujarat) আট উইকেটে হারিয়ে দিল বাংলা (Bengali)। সুদীপ ১৩২ বলে ১১৭ এবং অনুষ্টুপ ৮৮ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন। তৃতীয় উইকেটে দুজনের অবিচ্ছেদ্য ২০৯ রানের জুটির সৌজন্যেই চলতি বিজয় হাজারে ট্রফির (Vijay Hazare Trophy) কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল বঙ্গব্রিগেড। ফলে জলে গেল প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চালের (Priyank Panchal) ১০১ রানের ইনিংস।
২৮৪ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই বিপক্ষের অধিনায়ক চিন্তন গাজার বলে ফিরে যান শাকির হাবিব গান্ধী। সেই সময় দলের হাল ধরেন অভিষেক পোড়েল ও সুদীপ। দুজন দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৭৬ রান। তবে সেই সময় ফের একবার ধাক্কা খায় বাংলা। মারকুটে মেজাজে ব্যাট করলেও ৫৩ বলে ৪৭ রানে আউট হন বঙ্গ উইকেটকিপার। ফলে ৭৭ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলা।
[আরও পড়ুন: হাতে বুম! সাংবাদিকের ভূমিকায় ওয়ার্নারের দুই কন্যা, শাস্ত্রীদের দিকে ছুঁড়ে দিলেন চোখা চোখা প্রশ্ন]
সেই সময় অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন যে বাংলার হার সময়ের অপেক্ষা। তবে হিসেব বদলে দিলেন বঙ্গ অধিনায়ক ও দলের ‘ক্রাইসিস ম্যান’। চাপের মুখে চুপসে না গিয়ে পালটা আক্রমণ শুরু করেন দুই ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে দুজনের অবিচ্ছেদ্য ২০৯ রানের জুটি খেলা ঘুরিয়ে দিল। বাইশ গজে দাপট দেখানোর সঙ্গে ছিল দুজনের মারকাটারি মেজাজ। বিশেষ করে অনুষ্টুপ ছিলেন শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে চাপের মুখেও ১১১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রুকু। সেটা ছিল তাঁর লিস্ট এ ক্রিকেটে ষষ্ঠ শতরান। এদিনও নক আউট পর্বের আর এক ম্যাচে দলের মান বাঁচালেন অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ। পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির সুবাদে লিস্ট এ ক্রিকেটে সেরে ফেললেন সপ্তম সেঞ্চুরি। ৮৮ বলের ১০২ রানের এই ইনিংসে অনুষ্টুপ মারলেন ১০টি চার ও ১টি ছক্কা। পিছিয়ে ছিলেন না সুদীপ। একটা দিক আগলে রাখলেও, অনুষ্টুপের আগে সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১৩২ বলে ১১৭ রানের ইনিংস ৯টি চার ও ও ২টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল।
এদিকে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৮৩ রান করেছিল গুজরাট। শতরান করেছেন প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চাল। টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক সুদীপ। শুরুটা বোলারেরা ভালোই করেছিল। ওপেনার উর্বিল পটেল ও তিন নম্বরে নামা ক্ষিতীশ রান পাননি। তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধে গুজরাট। ওপেনার প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চালের সঙ্গে মিলে দলের রানকে টেনে নিয়ে যান সৌরভ চৌহান। দু’জনের মধ্যে ৯৪ রানের জুটি হয়। ৫৩ রানে ফেরেন চৌহান।
অক্ষর প্যাটেল রান না পেলেও উমঙ্গ কুমার সঙ্গ দেন পাঞ্চালকে। পাঞ্চাল শতরান করে আউট হওয়ার পরে মনে হচ্ছিল ২৫০ রানের বেশি করতে পারবে না গুজরাট। কিন্তু শেষ দিকে বেশ কয়েকটি বড় শট খেলেন উমঙ্গ। তাঁর ৪৭ বলে ৬৫ রানের ইনিংস গুজরাতকে ভাল জায়গায় নিয়ে যায়। ২টি করে উইকেট নিয়েছিলেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক ও সুমন দাস। ১টি করে উইকেট ঈশান পোড়েল, মহম্মদ কাইফ ও করণ লালের। আর এর পর বাইশ গজ শুধুই সুদীপ ও অনুষ্টুপের লড়াইয়ের সাক্ষী থাকল। ফলে শেষ আটে কোয়ালিফাই করতে বেগ পেতে হল না।