সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্বাধিক ৩২ বারের চ্যাম্পিয়ন। তবে গত মরশুম একেবারেই ভালো যায়নি। প্রাথমিক পর্বে বাংলা (Bengal) দল ভালো পারফর্ম করলেও, মূল রাউন্ডে বিশ্বজিত ভট্টাচার্যের (Biswjit Bhattachsarya) দলের ছেলেরা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। এবার রঞ্জন চৌধুরী (Ranjan Chowdhury) কি চাকা ঘোরাতে পারবেন? সেটা সময় বলবে। তবে মাঠে নামার আগে সূচি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে বঙ্গ শিবিরে।
শনিবার অর্থাৎ ৭ অক্টোবর পাঞ্জাব রওনা হচ্ছে বাংলা। ২০২৩-২৪ মরশুমের সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy 2023-24) প্রাথমিক পর্বে বাংলাকে একাধিক শক্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। বাংলার গ্রুপে রয়েছে পাঞ্জাব (Punjab), হরিয়ানা (Haryana), ওড়িশা (Odisha), দিল্লি (Delhi), লাদাখ (Ladakh)। তবে শুধু প্রতিপক্ষ নয়, বাংলা দলের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে পাঞ্জাবের প্রবল শীত।
সূচিতে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে ওড়িশা ও দিল্লি, প্রথম দুটি ম্যাচ খেলার জন্য সকাল আটটায় মাঠে নামতে হবে। সেটা নিয়ে বেজায় বিরক্ত টিম ম্যানেজমেন্ট। হেড কোচ রঞ্জন চৌধুরী মুখ না খুলতে চাইলেও, খবর নিয়ে জানা গেল ফুটবলাররা বেজায় বিরক্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বলেন, “সকাল আটটায় কিক অফ মানে ভোর পাঁচটা নাগাদ হোটেল ছাড়তে হবে। এত শীতে খেলা যায়! তাও মাত্র একদিনের ব্যবধানে আমাদের ফুটবলারদের ওড়িশা ও দিল্লির মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। সেখানে পাঞ্জাব কিন্তু তাদের সব ম্যাচ বিকেল ৪টে নাগাদ খেলবে। আমাদের শুরুতেই সমস্যায় ফেলা হচ্ছে। এমন বৈষম্য কেন? বুঝতে পারলাম না।”
আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত সূচি নিয়ে বেশ বিরক্ত। তিনি বলেন, “এই সমস্যার মধ্যেই গত কয়েক বছর ধরে আমাদের খেলতে হচ্ছে। আইএইএফএফ-কে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তবুও সব ভুলে আমাদের সেরা হওয়ার জন্য লড়াই করতে হবে।”
এবার বাংলা দল গড়ার জন্য যথেষ্ট সময় পাননি কোচ রঞ্জন চৌধুরী। তবে তা নিয়ে আর ভাবতে নারাজ তিনি। কোচ রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “প্রাথমিক পর্বে একাধিক শক্তিশালী দল রয়েছে। এখানে জিততে পারলে পরের রাস্তা অনেক সহজ হয়ে যাবে। ছেলেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে। মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিয়েই লড়াই করবে।”
এরই মধ্যে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে বাংলার চূড়ান্ত ২২ জনের দল বেছে নিয়েছেন রঞ্জন চৌধুরী। গত দুই মরশুম দলের অধিনায়ক ছিলেন স্ট্রাইকার নরহরি শ্রেষ্ঠা। তবে এবার অভিজ্ঞ গোলকিপার শঙ্কর রায়ের হাতে দলের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়েছে।
২২ জনের বাংলা দল –
শঙ্কর রায়, দেবনাথ মন্ডল, রৌণক ঘোষ, অরিজিৎ বাগুই, রানা ঘরামি, উজ্জ্বল হাওলাদার, আলমগির হুসেন, চাকু মান্ডি, বিজয় মুর্মু, দীপ সাহা, বিল্লু টেলি, নরহরি শ্রেষ্ঠা, শুভ ঘোষ, সাহিল হরিজন, জিতেন মুর্মু, সায়ন ব্যানার্জি, কৌস্তভ দত্ত, রাজ বাঁশফোর, দীপেন্দু বিশ্বাস, রুহুল পুরোকাইত, বিক্রম প্রধান, সুজয় ঘোষ।