সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের ক্রীড়া সরঞ্জামের (Sports goods) বাজারে একচ্ছত্র দখল চিনের। তাই চাইলেও চিনা পণ্য বয়কট করাটা সহজ হবে না। সত্যি যদি সরকার চিনা পণ্যের এপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাহলে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়া সামগ্রীর ব্যবসায়ীরা।
লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে ভারত-চিন উত্তেজনার জেরে দেশজুড়ে চিনা দ্রব্য (Chinese goods) বয়কটের ডাক উঠেছে। চিনা সামগ্রী তো বটেই চিনা সংস্থার স্পনসরশিপও বাতিলের দাবি উঠছে। কিন্তু ভারতের ক্রীড়াসামগ্রীর বাজারের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে চিন। ব্যাডমিন্টন তথা টেনিসের র্যাকেট, টিটির ব্যাট এবং বল, রেসলিংয়ের ম্যাট, বর্ষা ছোঁড়ার জন্য প্রয়োজনীয় জ্যাভলিন, হাই জাম্পের বার, বক্সিংয়ের হেডগার্ড, জিমের সামগ্রী এবং বিভিন্ন খেলোয়াড়ের পোশাক, এসবই আসে চিন থেকে। একটি পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ক্রীড়াসামগ্রীর ৫০ শতাংশেরও বেশি আসে চিন থেকে। যার জেরে বেকায়দায় ক্রীড়ামহল। কারণ, যে ক্রীড়াসামগ্রীগুলি চিন থেকে আমদানি করা হয়, তার বেশিরভাগটাই এদেশে পাওয়া যায় না। ফলে চাইলেও চিনা পণ্য বয়কট করে ‘স্বদেশি’ আন্দোলন করতে পারবে না ক্রীড়া শিল্প।
[আরও পড়ুন: ৩০ বছরের কেরিয়ারে ইতি! অবসর ঘোষণা করলেন WWE’র রাজা ‘দ্য আন্ডারটেকার’]
দেশের এক প্রখ্যাত ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্তা বলছেন, সরকার বলছে দেশি পণ্যে জোর দিতে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে সরকারি নীতির জন্যই দেশে চিনা পণ্যের এই বাড়বাড়ন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা যে শুধু প্রস্তুত ক্রীড়া সামগ্রীর জন্যই চিনের উপর নির্ভরশীল, তা নয়। বহু ক্রীড়াপণ্য তৈরির উপকরণের বাজারেও একচ্ছত্র দখল চিনেরই। স্বাভাবিকভাবেই চিনা পণ্য বয়কট করা বললেই বয়কট করা নয়। সেজন্য আগে ‘আত্মনির্ভর’ হতে হবে। ক্রীড়ামহলের একাংশ বলছে, সরকার মুখে আত্মনির্ভরতার কথা বললেও, আসলে ক্রীড়াক্ষেত্রকে আত্মনির্ভর করে তোলার জন্য তেমন কিছুই করেনি। যার জেরে আগামী দিনেও চিনের উপরই ভরসা করে থাকতে হবে ভারতকে। সুতরাং, চিনা ক্রীড়া সরঞ্জাম বয়কট করাটা ভারতের পক্ষে সহজ হবে না।
The post ক্রীড়া সরঞ্জামের বাজারে একচ্ছত্র দখল চিনের! বয়কট করা সহজ নয়, মত ব্যবসায়ীদের appeared first on Sangbad Pratidin.