সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের চেনা ছন্দে নেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ফরোয়ার্ডে তাঁকে না খেলিয়ে অন্য স্ট্রাইকারকে রেখে দল সাজালে বেশি উপকৃত হবে পর্তুগাল। কাতার বিশ্বকাপে কার্যত এই কারণ দেখিয়েই সিআর সেভেনকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে দিয়েছিলেন কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। কিন্তু শুধু পারফরম্যান্সের নিরিখে নয়, তাঁকে না খেলানোর পিছনে ছিল রাজনৈতিক কারণ। এবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এর্দোগান। তিনি সাফ জানালেন, রাজনৈতিক নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল রোনাল্ডোকে (Cristiano Ronaldo)!
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপের (Qatar World Cup 2022) কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছিল পর্তুগাল। সেই ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে খেলতে নেমেছিলেন রোনাল্ডো। একই ঘটনা ঘটে তার আগের অর্থাৎ শেষ ষোলোর ম্যাচে। সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম থেকে খেলানো হয়নি তাঁকে। তাঁর পরিবর্তে খেলেন তরুণ ব়্য়ামোস। গোলের হ্যাটট্রিকও করেন তিনি। সে ম্যাচেও শেষ ২০ মিনিটের জন্য দেখা গিয়েছিল রোনাল্ডোকে।
[আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের আরজি খারিজ, খুনের চেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল]
তুরস্ক প্রেসিডেন্ট মনে করছেন, রোনাল্ডোর প্রতিভাকে বিশ্বকাপে ‘অপচয়’ করা হয়েছে। কারণ তিনি রাজনীতির শিকার হয়েছেন। একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এর্দোগান বলেন, “রোনাল্ডোকে ওরা (পর্তুগাল টিম) ঠিক মতো ব্যবহার করেনি। দুর্ভাগ্যবশত রোনাল্ডোর উপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।” কিন্তু কেন? আসলে এর্দোগান মনে করছেন, প্যালেস্তিনীয়দের পাশে দাঁড়ানোর শাস্তিই ভোগ করতে হয়েছে পর্তুগিজ সুপারস্টারকে।
ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন লড়াই নিয়ে কখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি রোনাল্ডো। কিন্তু নানা সময় তাঁর কাজে প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি প্যালেস্তাইনের বাসিন্দাদের উপর সহানুভূতিশীল। এর্দোগানের মতে, এই কারণেই তাঁকে ডাগআউটে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তাঁর কথায়, “রোনাল্ডোর মতো একজন তারকা ফুটবলারকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে শেষ আধঘণ্টার জন্য মাঠে নামিয়ে তাঁকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করা ছাড়া আর কিছুই না।” পাঁচটি বিশ্বকাপে গোল করা প্রথম ফুটবলার রোনাল্ডোকে ‘ছেঁটে ফেলা’র নেপথ্যে এমন কারণ শুনে বেশ অবাকই হচ্ছেন তাঁর অনুরাগীরা।