সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুরস্ককে তিন গোলে হারিয়ে ইউরোর দ্বিতীয় রাউন্ড অনায়াসে নিশ্চিত করে ফেলেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগাল। তীব্র চর্চা চলছে, সিআরের নিঃস্বার্থ ফুটবল নিয়ে। বলা হচ্ছে, যে ভাবে রোনাল্ডো সহজ সুযোগ পেয়েও নিজে গোল না করে সতীর্থ ব্রুনো ফার্নান্ডেজকে দিয়ে করালেন, তা ফুটবল-শিক্ষার্থীদের দেখা উচিত। কিন্তু এত সবের মধ্যেও ধুন্ধুমার বেঁধে গেল ইউরোর নিরাপত্তা নিয়ে। এবং তারও মধ্যমণি সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো!
ঠিক কী ঘটেছে? গত তুরস্ক-পর্তুগাল ম্যাচের সময় এক নয়, দুই নয়, পাঁচ জন সিআর-ভক্ত নিরাপত্তা কর্ডন ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন! রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) সঙ্গে শুধুমাত্র একটা সেলফি তুলতে! ছ’নম্বর জন বহু চেষ্টা করেও পর্তুগাল মহাতারকার কাছাকাছি পৌঁছতে পারেননি বটে। কিন্তু তাঁকে তাড়া করতে গিয়ে একজন নিরাপত্তাকর্মী আবার হুমড়ি খেয়ে পড়েন পর্তুগাল স্ট্রাইকার গঞ্জালো র্যামোসের ঘাড়ে। পর্তুগাল স্ট্রাইকার সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে পড়ে যান মাটিতে। পরে তাঁকে খোঁড়াতেও দেখা যায়।
[আরও পড়ুন: অঙ্কের জটিলতা নয়, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই সেমিফাইনালে যাওয়ার পরিকল্পনা রোহিতদের]
রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসে ইউরোর নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে যান পর্তুগাল কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। ‘‘বিষয়টা চিন্তার তো বটেই। আজ যাঁরা মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন, তাঁদের উদ্দেশ্য ভালো ছিল। আমাদের ভাগ্য ভালো বলতে হবে। কিন্তু গণ্ডগোল কিছু হয়ে গেলে তখন কী হবে?’’ প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মার্টিনেজ। ‘‘সমর্থকদের আমরা প্রত্যেকে ভালোবাসি। যাঁরা কি না মহাতারকাদের, আইকনদের নিজেদের জীবনে আলাদা জায়গা দেন। কিন্তু একবার ভাবুন তো, যাঁরা মাঠে ঢুকে পড়ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য যদি খারাপ হয়? প্লেয়ারদের তো নিরাপত্তা বলে কিছুই তখন আর থাকবে না। সেটা নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। আমার মতে, ফুটবল মাঠে এ জিনিস হওয়া উচিত নয়। প্রচুর নিরাপত্তাকর্মী থাকেন মাঠে। ভালো সুরক্ষা বলয় থাকে। তার পরেও এ জিনিস কেন হবে?’’ যোগ করেছেন পর্তুগাল কোচ।
ছ’জন সমর্থককেই হেফাজতে নিয়েছে জার্মান পুলিশ। কিন্তু তাতে মার্টিনেজের অস্বস্তি কমছে না। কেবল মার্টিনেজ নন, বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকেই প্রশ্ন ওঠে ইউরোয় (Euro Cup 2024) খেলা ফুটবলারদের নিয়ে। এহেন পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে উয়েফা (UEFA)। ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে কেউ মাঠে ঢুকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই সমর্থককে স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেওয়া হবে। গোটা টুর্নামেন্ট থেকে ব্যান করা হবে তাকে। এছাড়াও পুলিশি অভিযোগ দায়ের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।