সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেবারেই ভাল নেই নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) প্রাক্তন অলরাউন্ডার ক্রিস কেনস্ (Chris Cairns)। হৃদরোগের আক্রান্ত হয়ে আপাতত অস্ট্রেলিয়ার (Australia) হাসপাতালে লাইফ সার্পোর্টে রয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে ক্যানবেরায় থাকাকালীন ধমনী ছিঁড়ে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তাঁর। তার আগে একাধিক অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। সব মিলিয়েই অসুস্থতা বাড়ে। প্রভাব পড়ে হৃৎপিণ্ডতেও। কিন্তু যেভাবে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেবেন বলে আশা করেছিলেন চিকিৎসকরা, তেমনটা হয়নি। আর সেই কারণেই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, তাঁর আরও ভাল চিকিৎসার জন্য শীঘ্রই সিডনির স্পেশ্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হতে পারে ক্রিসকে।
[আরও পড়ুন: শীঘ্রই অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি! IOC-র কাছে জোরাল দাবি জানাচ্ছে ICC]
স্বাভাবিকভাবেই এমন খবরে মন খারাপ ক্রিকেটপ্রেমীদের। একটা সময় কিউয়ি জার্সি গায়ে চাপিয়ে দাপটের সঙ্গে ব্যাটিং ও বোলিং করেছেন। সেই তারকাই নাকি ৫১ বছর বয়সে আজ লাইফ সাপোর্টে। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন প্রত্যেকেই।
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ক্রিস। দেশের জার্সিতে খেলেছেন ৬২টি টেস্টে এবং ২১৫টি ওয়ানডে ম্যাচ। টেস্টে তিন হাজারেরও বেশি এবং একদিনের ক্রিকেটে রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার রান। দুই ফরম্যাটেই দু’শোর বেশি উইকেট রয়েছে ক্রিসের ঝুলিতে। অলরাউন্ডার হিসেবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ২০০০ সালে উইসডেন ক্রিকেটারের সম্মানও পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৪-এ টেস্ট থেকে অবসর ঘোষণার সময় নিউজিল্যান্ড ‘অর্ডার অফ মেরিট’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন এই তারকা। যদিও কেরিয়ারের শেষে তাঁর গায়ে লেগেছিল ম্যাচ গড়াপেটার কালো দাগ। ক্রিকেট মহলে কুড়িয়েছিলেন সমালোচনা। তবে ব্রিটেনের আদালত পরে তাঁকে বেকসুর খালাসই করেছিল।