সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেবারেই ভাল নেই নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্নস (Chris Cairns)। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর বাঁ পা-সহ শরীরের বামদিকের অংশ পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। অর্থাৎ দীর্ঘ বিশ্রামে থাকতে হবে তাঁকে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকেই ক্যানবেরায় থাকাকালীন ধমনী ছিঁড়ে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তাঁর। তার আগে একাধিক অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। সব মিলিয়েই অসুস্থতা বাড়ে। প্রভাব পড়ে হৃৎপিণ্ডতেও। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। কিন্তু যেভাবে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেবেন বলে আশা করেছিলেন চিকিৎসকরা, তেমনটা হয়নি। আর সেই কারণেই পরে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে তাঁর আরও ভাল চিকিৎসার জন্য সিডনির স্পেশ্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিতও করা হয় ক্রিসকে বলে খবর। হৃদরোগের কারণেই এবার অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচারের সময় পক্ষাঘাতে (paralysed) আক্রান্ত হন ক্রিস। অস্ট্রেলিয়াতেই বিশেষজ্ঞর তত্ত্বাবধানে রিহ্যাবে থাকবেন তিনি। তবে আবার পুরনো অবস্থায় ফিরতে বহুদিন সময় লাগবে।
[আরও পড়ুন: Tokyo 2020 Paralympics: ইতিহাস গড়ে পদক নিশ্চিত করলেন ভারতীয় টেবিল টেনিস তারকা]
স্বাভাবিকভাবেই এমন খবরে মন খারাপ ক্রিকেটপ্রেমীদের। অনেকেই ভেবেছিলেন, অস্ত্রোপচারের পর হয়তো দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। কিন্তু তেমনটা হল না। বরং আরও যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে তাঁকে। একটা সময় কিউয়ি জার্সি গায়ে চাপিয়ে দাপটের সঙ্গে ব্যাটিং ও বোলিং করেছেন। সেই তারকাই ৫১ বছর বয়সে আজ পক্ষাঘাতে আক্রান্ত।
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ক্রিস। দেশের জার্সিতে খেলেছেন ৬২টি টেস্টে এবং ২১৫টি ওয়ানডে ম্যাচ। টেস্টে তিন হাজারেরও বেশি এবং একদিনের ক্রিকেটে রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার রান। দুই ফরম্যাটেই দু’শোর বেশি উইকেট রয়েছে ক্রিসের ঝুলিতে। অলরাউন্ডার হিসেবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ২০০০ সালে উইসডেন ক্রিকেটারের সম্মানও পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৪-এ টেস্ট থেকে অবসর ঘোষণার সময় নিউজিল্যান্ড ‘অর্ডার অফ মেরিট’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন এই তারকা। যদিও কেরিয়ারের শেষে তাঁর গায়ে লেগেছিল ম্যাচ গড়াপেটার কালো দাগ। ক্রিকেট মহলে কুড়িয়েছিলেন সমালোচনা। তবে ব্রিটেনের আদালত পরে তাঁকে বেকসুর খালাসই করেছিল।