বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: দক্ষিণ আমেরিকার (South America) সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অ্যাকনকাগুয়া জয় করলেন ভারতীয় নারী। সিকিমের সোরেং এলাকার বাসিন্দা পর্বতারোহী মনিতা প্রধান মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি ২২ হাজার ৮৩৭ ফুট উঁচু অ্যাকনকাগুয়ার শীর্ষে পা রাখেন। মনিতার সাফল্যে খুশির আবহ দেশজুড়ে। সিকিম ভেসেছে উচ্ছ্বাসে।
মনিতার সাফল্যে খুশির হাওয়া দার্জিলিং হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটেও। সংস্থার অধ্যক্ষ গ্রুপ ক্যাপ্টেন জয় কিষান বলেন, “মনিতার সাফল্য নারীর ক্ষমতায়নের শক্তিশালী উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই সাফল্য ব্যক্তিগত বিজয় নয়। যুবক-যুবতীদের অনুপ্রেরণার আলোকবর্তিকাও বটে।” তবে এবারই প্রথম নয়। মনিতার ঝুলিতে এর আগেও ছিল পর্বতারোহণে একাধিক সাফল্যের সম্মান।
[আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশনেই CAA লাগুর পরিকল্পনা! কোন পথে হাঁটছে কেন্দ্র?]
৩৯ বছরের ওই মহিলা পর্বতারোহী ২০১৪ সালে প্রশিক্ষণ শেষে পর্বতারোহণের যাত্রা শুরু করেন। যদিও এর আগে ২০০৭ সাল থেকে ছোটখাটো পর্বতারোহণের ইভেন্টে অংশ নেন। এরপর ২০১৩ সালে সাড়ে ৬ হাজার মিটার উঁচু মাউন্ট মানিরাং, ২০১৪ সালে ৬ হাজার মিটার উঁচু মাউন্ট টিংচেন খাং, ২০১৫ প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মিটার উঁচু ভাগীরথী অভিযান করেন। ২০২১ সালে এভারেস্টে পা রাখেন মনিতা। এরপর এবার অ্যাকনকাগুয়া জয়। এটা ছিল সপ্তম অভিযান। ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে মনিতা দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ রেঞ্জের মাউন্ট অ্যাকনকাগুয়ার শীর্ষে পা রেখে ভারতীয় তেরঙ্গা উড়িয়ে দেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ওই শৃঙ্গের উচ্চতা ছিল ৬ হাজার ৯৬২ মিটার অর্থাৎ ২২ হাজার ৮৩৭ ফুট। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে লড়াই করে মনিতাকে শৃঙ্গে পৌঁছতে হয়।
পর্বতারোহীরা মনে করছেন অ্যাকনকাগুয়ায় মনিতার সাফল্য ব্যক্তিগত নয়। এটা ভারতীয় মহিলাদের দৃঢ সংকল্পের জয়। মনিতা অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস এবং পরিবেশ সচেতনতা প্রচারেও জড়িত। সেই দিক থেকে এখন তিনি রীতিমতো রোল মডেল। যদিও মনিতা এখানেই থেমে দাঁড়াতে নারাজ। এখন তাঁর লক্ষ্য আরও তিনটি পাহাড় চূড়া জয়। সেগুলো হল উত্তর আমেরিকার মাউন্ট ডেনালি, অ্যান্টার্কটিকার মাউন্ট ভিনসন ম্যাসিফ এবং ইন্দোনেশিয়ার কার্স্টেনজ পিরামিড।