চেন্নাই সুপার কিংস: ১৪৪/৬ (দুবে-৪৮*, কনওয়ে-৩০)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৪৭/৪ (রিঙ্কু-৫৪, রানা-৫৭*)
৬ উইকেটে জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর আর আর। অর্থাৎ রিঙ্কু সিং আর নীতীশ রানা। এই দুই তারকার যুগলবন্দিতেই সিংহের ডেরায় সিংহ বধ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। ধোনিবাহিনীকে ধরাশায়ী করে প্লে অফে পৌঁছনোর ক্ষীণ আশাও জিইয়ে রাখল শাহরুখ খানের দল।
কলকাতা দলের এক্স ফ্যাক্টর কে? বিগত মরশুমগুলোয় এ প্রশ্ন উঠলে সুনীল নারিন কিংবা আন্দ্রে রাসেলের নাম উঠে আসত। কিন্তু এবার সমস্ত লাইমলাইট ছিনিয়ে নিয়েছেন একজন। যাঁকে বারবার নানা ঠাট্টা মশকরা সহ্য করতে হয়েছে, সেই রিঙ্কু সিংই এবার নাইটদের নায়ক। কখনও পাঁচ ছক্কা মেরে দলকে অবিশ্বাস্য জয় উপহার দিয়েছেন তো কখনও বড় রান করে জয়ের কাণ্ডারি হয়েছেন। চিপকের অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও যার ব্যতিক্রম হল না। রবিবারই চিপকে এ মরশুমে ধোনির শেষ ম্যাচ। তাই তাঁকে নিয়েই ছিল যাবতীয় আবেগ। কিন্তু সেই আবেগকে ছাপিয়ে গিয়েও নিজের কর্তব্যে অবিচল রইলেন রিঙ্কু। আর তাতেই এল কাঙ্ক্ষিত জয়।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের সাহায্য করুণ’, স্মৃতি-নির্মলাকে চিঠি লিখে করুণ আর্তি মহিলা কুস্তিগিরদের]
এদিন প্রথমে ব্যাট করে শুরুতেই ধস নামে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং লাইন আপে। কনওয়ে ৩০ রান করলেও দ্রুত ফিরে যান ঋতুরাজ (১৭), রাহানে (১৬), রাইডুরা (৪)। সে সময় দলের হাল ধরেন শিবম দুবে। তবে চিপকে ১৪৪ রান করে বিপক্ষকে রোখা মুশকিল। যদিও সেক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায় ক্যাপ্টেন কুলের মগজাস্ত্র। তার জোরে কেকেআর টপ অর্ডারকে ধাক্কা দেওয়াও সম্ভব হয়েছিল। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন জেসন রয়, গুরবাজ, ভেঙ্কটেশ আইয়াররা। কিন্তু রিঙ্কু ও রানাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।
ম্যাচ শেষে ধোনি জানালেন, প্রথমে ব্যাট করে স্পিনারদের সামলানো এবং পরে ব্যাট করে সেই কাজটা করার মধ্যে অনেকখানি পার্থক্য তৈরি হয়ে যায়। কেকেআর স্পিনারদের দাপটেই বড় রান তোলা সম্ভব হয়নি। তবে চিপকে নাইটরা জিতলেও প্লে অফের অঙ্ক এখনও বেশ কঠিন। তা সত্ত্বেও জয়ের অক্সিজেন পেয়ে মিরাকলের আশায় বুক বাঁধছেন কিং খানের দলের সমর্থকরা।