কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৮৫/৬ (ভেঙ্কটেশ-১০৪, রাসেল-২১*)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৮৬/৫ (ঈশান-৫৮, সূর্যকুমার-৪৩)
৫ উইকেটে জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেকেআর জার্সিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নজির ভেঙ্কটেশ আইয়ারের। কিন্তু এহেন ভাল পারফরম্যান্সের পরও জয়ের স্বপ্নপূরণ হল না। মুম্বই (Mumbai Indian) ব্যাটারদের বিধ্বংসী ব্যাটিং সৌজন্যেই পরাস্ত কেকেআর।
[আরও পড়ুন: শামির সঙ্গে জমে উঠেছে প্রীতির কেমিস্ট্রি? দুই তারকার ছবি ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে জল্পনা]
মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে দু’টো ম্যাচ। তাও আবার কলকাতা থেকে মুম্বই পর্যন্ত ট্রাভেল করে। আর গরম আবহাওয়ার কথা তো আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। এহেন পরিস্থিতিতে খানিকটা চাপেই থাকার কথা কেকেআরের। যার প্রতিফলন ঘটে নাটইদের ব্যাটিংয়ে। টপ-অর্ডারের একের পর এক ব্যাটার ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। কার্যত একাহাতেই দলকে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ব্রেন্ডন ম্যাকালামের পর দ্বিতীয় কেকেআর ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করার নজির গড়েন তিনি।
তবে তাঁর এই দুরন্ত পারফরম্যান্স সত্ত্বেও জয় অধরাই রইল। কারণ মুম্বই ব্যাটারদের বাগে আনতে পারলেন না কেকেআর (KKR) বোলাররা। শুরুতে ভিত গড়ে দেন ঈশান কিষান। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামেন রোহিত শর্মা (২০)। তাঁর উইকেটটি তুলে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের সাময়িক ধাক্কা দেন নাটইদের রহস্য স্পিনার সুয়শ শর্মা। তবে হিটম্যাচ ফিরে গেলেও হাল ধরে নেন ঈশান ও এদিনের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। লাগাতার ব্যর্থতার পর অবশেষে সূর্যকুমারের ছন্দে ফেরা নিঃসন্দেহে স্বস্তি দেবে মুম্বই শিবিরকে।
৩০ রান করে ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া তিলক বর্মার উইকেটটিও পান সুয়শ। তবে ততক্ষণে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে মুম্বই। ১৪ বল বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নেন টিম ডেভিডরা (২৪*)। এদিন ২ ওভারে ১৭ রান দিয়ে কোনও উইকেট না পেলেও দলের জয় দিয়েই আইপিএলের অভিষেক ঘটালেন শচীনপুত্র অর্জুন তেণ্ডুলকর।