স্টাফ রিপোর্টার: তাঁদের গুরু-শিষ্য জুটি মাঠে বাংলাকে অনেক কিছু দিয়েছে। বাংলা শেষ বার বিজয় হাজারে ট্রফি জেতে যখন, টিমের কোচ ছিলেন ডব্লিউ ভি রামন। আর মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সেই ফাইনাল জিতিয়েছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmiratan Shukla)। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, এবার সেই ২০১১-’১২-র বিজয় হাজারে ফাইনাল জেতানো কোচ-ক্রিকেটার জুটির হাতেই যেতে চলেছে বাংলা ক্রিকেটের দায়িত্ব।
শুধু এবার লক্ষ্মীরতন শুক্লা বাংলার রনজি টিমের কোচ। আর অতীতে তাঁর কোচ ডব্লিউ ভি রামন (WV Raman) ব্যাটিং কোচ।
খবর যা, তাতে সিএবি (CAB) মঙ্গলবারই লক্ষ্মীর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে কোচ হিসেবে ঘোষণা করে দেবে। সিএবি সূত্র বলা হল যে, নতুন কোচকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করা হবে। রামন–শোনা গেল তিনি আপাতত আসছেন এক বছরের চুক্তিতে।
[আরও পড়ুন: মানসিক হেনস্তার শিকার অলিম্পিকে পদকজয়ী লভলিনা! কড়া পদক্ষেপ ক্রীড়ামন্ত্রকের]
যে খবর স্থানীয় ক্রিকেটমহলে রাতের দিকে ছড়িয়ে পড়তে বলাবলি শুরু হল, একদম সঠিক দু’জনকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ডব্লিউ ভি রামনের নামডাক গোটা ভারতবর্ষে। দেশের অন্যতম সেরা ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্কও বলা হয় তাঁকে। এটাও বলা হয় যে তাঁর টেকনিক জ্ঞান অতুলনীয়। আর লক্ষ্মীরতন শুক্লা! তাঁকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। বাংলা ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা ম্যাচ উইনার লক্ষ্মী। বহু ম্যাচে দিনের পর দিন একা ব্যাটিং-বোলিং করে টিমকে জিতিয়ে দিয়েছেন। ডাকসাইটে, লড়াকু মানসিকতার ক্রিকেটার হিসেবে তাঁকে চেনে ময়দান। কোনও সন্দেহ নেই, লক্ষ্মী-রামনের জুটিতে বাংলা ক্রিকেট আরও উপকৃত হতে চলেছে।
বাদবাকি খবর যা, তাতে সিনিয়র টিমের বোলিং কোচ হিসেবে থেকে যেতে চলেছেন শিবশঙ্কর পাল। গত কয়েক বছর শিবের অভিজ্ঞতাকে উপেক্ষাই করা হয়েছিল একপ্রকার। তাঁর মতো বোলার বাংলা ক্রিকেটে খুব কমই এসেছে। এবার শিবশঙ্করের গুরুত্বও বাড়বে।