সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তরুণ প্রতিভা তুলে আনে আইপিএল (IPL)। কিন্তু মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj) বলছেন, আইপিএলের পর থেকে তিনি তাঁর আউটসুইং হারিয়েছেন। হাতড়ে বেড়াচ্ছেন সেই অস্ত্র।
কপিল দেব নিখাঞ্জ (Kapil Dev) ঈশ্বরদত্ত আউট সুইংয়ের অধিকারী ছিলেন। বাকিগুলো তিনি শিখে নিয়েছিলেন। কপিলের মারণ আউটসুইংয়ের জবাব ছিল না ব্যাটসম্যানদের কাছে। তখন অবশ্য আইপিএল ছিল ভিনগ্রহের ব্যাপার স্যাপার।
[আরও পড়ুন: যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিল নাম, বহিষ্কৃত ভারতের মহিলা ফুটবল দলের সহকারী কোচ]
কপিলের মতো আউট সুইং অনেকেই করাতে পারবেন না। মহম্মদ সিরাজ নিজেও যে আউটসুইংয়ে দক্ষ তা নয়। তবে আউটসুইং করাতে ভালবাসেন তিনি। আউটসুইং করিয়ে ব্যাটসম্যানকে বোকা বানিয়েছেন। আউটসুইং থেকে উইকেটও এসেছে অনেক। কিন্তু মেগাটুর্নামেন্টের পর থেকে আউটসুইং আর সেভাবে বেরচ্ছে না তাঁর হাত থেকে। আউটসুইং ঠিকঠাক না হওয়ায় ইনসুইংয়ের উপরে জোর দিচ্ছেন সিরাজ। তিনি বলেছেন, ”আইপিএলের পর থেকে আমি আউটসুইং হারিয়ে ফেলেছি। সুইংয়ের উপরে জোর দিচ্ছি। আউটসুইং করাতে ভালই লাগে। অনেক উইকেটও পেয়েছি আউটসুইং করিয়ে। এখন ইনসুইংয়ের দিকে নজর দিয়েছি।”
এদিকে এজবাস্টন টেস্টে ভারত সুবিধাজনক অবস্থাতেই বলা যায়। সিরাজ এজবাস্টন টেস্ট প্রসঙ্গে বলছেন, ”আমরা প্রথম তিনদিন প্রাধান্য রেখেছি। ঋষভ পন্থ ও রবীন্দ্র জাদেজার পার্টনারশিপ আমাদের ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।”
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস অনেক আগেই শেষ করে দিতে পারত ভারত। কিন্তু বেয়ারস্টো হঠাতই ব্যাট হাতে সংহার মূর্তিতে ধরা দেন। বিরাট কোহলির স্লেজিং তাঁকে আরও খেপিয়ে দেয়। সিরাজ বলছেন, ”বেয়ারস্টোর বিরুদ্ধে আমাদের ধৈর্য ধরতে হত। ও আক্রমণের রাস্তা নিয়েছিল। নিজেদের পরিকল্পনায় অবিচল থাকতে হত। নিজেদের ক্ষমতার উপরে আমাদের আস্থা রয়েছে।” তৃতীয় দিনের শেষে ভারত এগিয়ে ২৫৭ রানে। চতুর্থ দিনের এজবাস্টনের দিকে তাকিয়ে সবাই।