সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্য সময় পাঁচ গোল খেলে সমর্থকরা যে ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি দেন কোচের নামে, এবার সেই ছবি দেখা যায়নি। ওড়িশা এফসি-র (Odisha FC) বিরুদ্ধে এএফসি কাপে (AFC Cup) ৫-২ গোলে হেরে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সমর্থকরা হতাশ হলেও ‘ফেরান্দো গো ব্যাক’ ধ্বনি শোনা গেল না যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে।
কিন্তু কেন মোহনবাগানের মতো দল পাঁচ গোল খেল? হেড কোচ জুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferando) স্বীকার করছেন এদিন মাঠে নামার আগে মাজিয়ার বিরুদ্ধে বসুন্ধরা কিংসের ২-১ ব্যবধানে জয়টা তাদের ফুটবলারদের কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দিয়েছিল। পরবর্তী পর্বে যাওয়ার জন্য বসুন্ধরা-মাজিয়া ম্যাচের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ ছিল ফেরান্দোদের কাছে। যে ম্যাচে বাংলাদেশের দলটি পিছিয়ে পড়েও নাটকীয় জয় তুলে নেয়।
[আরও পড়ুন: ওড়িশার কাছে পাঁচ গোল হজম মোহনবাগানের, এএফসি কাপ অভিযান শেষ ফেরান্দোদের]
ওড়িশার কাছে ৫-২ গোলে হারের পর হারের পর ফেরান্দো বলেন, “সেই ম্যাচে বসুন্ধরা জিতে যাওয়ায় আমাদের ফুটবলাররা ভাবতে শুরু করেছিল যে, ম্যাচটা জিততেই হবে। আমরা যখন ওয়ার্ম আপ করছিলাম, তখন মাজিয়া এক গোলে এগিয়ে ছিল। তারপর খেলা শুরুর আগে জানতে পারি ম্যাচটা বসুন্ধরা জিতেছে। ফুটবলারদের মনে ওই ফলাফলটা ঘুরছিল। প্রথম কুড়ি মিনিট ভালো খেললেও তারপর খেলা থেকে হারিয়ে যায় ছেলেরা। শেষের দিকে অলআউট খেলতে গিয়ে শেষ দুটো গোল খেয়েছি।”
আপাতত এই ম্যাচ হারের পর ফের আইএসএলে ফোকাস করতে চান মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ। তিনি ফের বলেন, “জীবন থেমে থাকে না। এখন ফোকাস আইসএলে। সামনেই হায়দরাবাদ ম্যাচ। জানুয়ারিতে সুপার কাপ।” একইসঙ্গে যিনি মানছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার না থাকাটা ফ্যাক্টর হয়ে গিয়েছে। বলছিলেন, “এটাই ফুটবলের অঙ্গ। সত্যি কঠিন বিষয়। তবে এটা নিয়ে আর বলে লাভ নেই।”
এএফসি কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে মাজিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দল বসুন্ধরার ২-১ গোলে জেতা টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করছেন ফেরান্দো। তবে রয় কৃষ্ণ প্রসঙ্গে একটু বিব্রতই হলেন তিনি। এদিন প্রতিশোধের ম্যাচে জ্বলে উঠেছিলেন প্রাক্তন মোহনবাগান ফুটবলার। ওড়িশার আক্রমণভাগকে নেতৃত্ব দিয়ে গেলেন। শুধু গোলই করলেন না, গোল করালেনও কৃষ্ণ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ফিজি তারকার প্রসঙ্গ উঠতে একটু বিব্রত দেখাল তাঁকে।