সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইনজীবীর মাধ্যমে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে আইনি নোটিস পাঠালেন মুশফিকুর রহিম (Mushfiqur Rahimm)। মুশফিকের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, টেলিভিশন চ্যানেলটির হেড অফ নিউজ, ক্রীড়া সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের কাছে বিষয়ের নিষ্পত্তি চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
গত ৬ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট চলার সময় অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডের জন্য আউট হন বাংলাদেশের (Bangaldesh) তারকা ক্রিকেটার। প্রথম ইনিংসের ৪০.৪ ওভারের ঘটনা। কাইল জেমিসনের বলটা ব্যাকফুটে খেলেন মুশফিকুর। তিনি বলটা ডান হাত দিয়ে ধরেন। কিন্তু সেউ বল কোনওভাবেই স্টাম্পে লাগত না। অনেকটাই দূরে ছিল। মুশফিকুর কেন যে বলটা ধরতে গেলেন তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। কিউয়িরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন। ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করা হয়। তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লে দেখে আউট দেন বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারকে। ক্রিকেটের ৩৭.১.২ নিয়ম অনুযায়ী, ‘বল যদি খেলার মধ্যে থাকে এবং ব্যাটারের যে হাতে ব্যাট নেই, সেই হাত দিয়েই বলটা ধরেন, তবে তাঁকে আউট দেওয়া হবে। কিন্তু চোটের থেকে বাঁচতে যদি ব্যাটার বল ধরেন, তাহলে তিনি আউট হবেন না।’
[আরও পড়ুন: অধিনায়ক সুদীপ-অনুষ্টুপের জোড়া সেঞ্চুরি, গুজরাটকে হেলায় হারিয়ে শেষ আটে বাংলা]
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজ চলাকালীন মুশফিকুর রহিমের ‘আউট অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’-কে কেন্দ্র করে ‘মিরপুর টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধ! সন্দেহ সিনিয়র ক্রিকেটারের দিকে!’— শিরোনামে একটি প্রতিবেদন সেই টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান খেলাযোগের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে প্রচার করা হয়। প্রতিবেদনে মুশফিকের আউট নিয়ে মনগড়া, অসত্য, উদ্দেশ্য-প্রণোদিত তথ্য পরিবেশন করে তাঁর দীর্ঘ ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের উপর কালিমা লেপন করা হয়েছে এবং তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। মুশফিকুরের দাবি, সেই এই প্রতিবেদনের জন্য তাঁর পারিবারিক, সামাজিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে সুনাম নষ্ট হয়েছে।
মুশফিকুর রহিমের পক্ষ থেকে নোটিশটি ইমেইলের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। নোটিশে যে চারটি বিষয়ে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিষ্পত্তি চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে প্রথমেই আছে, অতি দ্রুত ইউটিউবসহ অন্যান্য প্লাটফর্ম ও সোশাল মিডিয়া থেকে সেই অসত্য ও মনগড়া প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলতে হবে। এবার এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।