রাজস্থান রয়্যালস: ১৯৯/৪ (যশস্বী- ৬০, বাটলার-৭৯, মুকেশ-৩৬/২)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৪২/৯ (ওয়ার্নার-৬৫, ললিত-৩৮)
৫৭ রানে জয়ী রাজস্থান রয়্যালস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋষভ পন্থ না থাকলেও খাতায়-কলমে খুব একটা মন্দ দল নয় দিল্লি ক্যাপিটালস (DC)। ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শ, সবই পাচ্ছে দল। কিন্তু চলতি আইপিএলে এখনও জয়ের মুখই দেখা হল না তাদের। লখনউ সুপার জায়ান্টস, গুজরাট টাইটান্সের পর রাজস্থানের কাছেও পরাস্ত দিল্লি। অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেও শেষরক্ষা করতে পারলেন না ওয়ার্নার।
শনিবার গুয়াহাটির বিরষাপাড়া স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ওয়ার্নার। আর ব্যাট হাতে নেমেই মারকাটারি মেজাজে দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়েন যশস্বী জসওয়াল এবং জস বাটলার। ন’ওভারের আগেই দুই ওপেনার জুটি পৌঁছে যায় একশোর দোরগোড়ায়। কথায় বলে, মর্নিং শোজ দ্য ডে। এক্ষেত্রেও তেমনটাই যেন হল। এরপর স্যামসন ও রিয়ান পরাগ দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরলেও পরিস্থিতি সামলে নেন হেটমেয়ার। ফলস্বরূপ, দিল্লির সামনে ২০০ রানের কঠিন লক্ষ্যমাত্রা তৈরি হয়।
[আরও পড়ুন: বাইকে বসে শাহিদের ঠোঁটে ঠোঁট রাখলেন কৃতী! নতুন ছবি ঘিরে শোরগোল]
বাংলার মুকেশ কুমার জোড়া উইকেট নিলেও স্যামসনদের বাগে আনা যায়নি। তবে ব্যাট হাতে এদিনও ব্যর্থ পৃথ্বী শ, মণীশ পাণ্ডেরা। কার্যত একা হাতেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যান ওয়ার্নার। খানিকটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেন ললিত যাদবও। তবে ট্রেন্ট বোল্টের পেস আর চাহালের স্পিনের সামনে একপ্রকার অসহায়ই হয়ে পড়ে দিল্লি। দুই বোলারই তুলে নেন তিনটি করে উইকেট। আর সেই সৌজন্যেই একপেশে ম্যাচ জিতে নিল রাজস্থান।
প্রথম তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরে স্বাভাবিক ভাবেই আত্মবিশ্বাস তলানিতে দিল্লির। এবার দেখার, কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়ায় ‘দাদা’র দিল্লি।