বিহার, প্রথম ইনিংস: ৯৫ (মুকেশ ৪/১৮, সুরজ ৪/৪৭, রিশভ রাজ ২৬)
বাংলা, প্রথম ইনিংস: ৪১১/৫ ডিক্লেয়ার (অভিমন্যু ২০০*, অভিষেক পোড়েল ৫৬, অনুষ্টুপ ৩৯, মনোজ ৩০)
বিহার, দ্বিতীয় ইনিংস: ১১২ (মুকেশ ৬/৩২, সুরজ ৪/৩৪)
বাংলা এক ইনিংস ও ২০৪ রান
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় দিনের লাঞ্চের আগেই খেল খতম! দুর্বল বিহারকে (Bihar) এক ইনিংস ও ২০৪ রানে হারিয়ে এবারের মতো রনজি ট্রফির (Ranji Trophy 2023-24) মরশুম শেষ করল বাংলা। এবং একইসঙ্গে শেষ হল মনোজ তিওয়ারির (Manoj Tiwary) ২০ বছরের প্রথম শ্রেণির কেরিয়ারের সুবর্ণ অধ্যায়।
ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) চেনা ঘাসের পিচে বিহারের ব্যাটিংকে ১১২ রানে গুটিয়ে, একাই শেষ করে দেন মুকেশ কুমার (Mukesh Kumar)। প্রথম ইনিংসে ১৮ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ঝুলিতে এল ৩২ রানে ৬ উইকেট। অন্যদিকে সুরজ সিন্ধু জসওয়াল এবার নিলেন ৩৪ রানে ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসে এই তরুণ ডানহাতি বোলার নিয়েছিলেন ৪৭ রানে ৪ উইকেট।
[আরও পড়ুন: রাজকোট টেস্টের চতুর্থ দিনই দলে যোগ অশ্বিনের, বল করতে পারবেন কি?]
দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে বিহারের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ছিল ১ উইকেটে ৩২ রান। তবে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনের আগেই বিহারের বাকি ৯টি উইকেট তুলে নিল বাংলার পেস বাহিনী। বাংলার বোলিংকে নেতৃত্ব দিলেন মুকেশ। তাঁর আগুনে বোলিংয়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকল বঙ্গ অধিনায়কের শেষ ম্যাচ। জেতার পর সতীর্থদের কাঁধে চেপে প্রিয় ইডেন গার্ডেন্স ছাড়েন বঙ্গ অধিনায়ক। তবে মাঠ ছাড়ার আগে ক্রিকেটের নন্দন কাননকে প্রণাম করেন বাংলার বহু যুদ্ধের নায়ক।
এদিকে বিহারের কোনও ব্যাটারই উল্লেখযোগ্য রান করতে পারলেন না। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করলেন এস গনি। তাঁর ব্যাট থেকে এল ২৮ রান। বিপিন সৌরভ (২২) এবং পরমজিৎ সিং (২৩) কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন। এ ছাড়া ২৪ রান করেছেন ওপেনার মাহরুর। তবে বড় ব্যবধানে জিতলেও, বাংলাকে এবার লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হল।
গোটা দলের একটি ছবি এবং সব ক্রিকেটারের সই করা একটি বাঁধানো জার্সি উপহার দেওয়ার হয়। মনোজের হাতে উপহার তুলে দেন কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা। এদিকে এদিন বিকালেই মনোজকে সংবর্ধনা জানাবে সিএবি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রান এবং অবসরের জন্য সংবর্ধনা জানাবে বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থা। তাঁকে সম্মান জানাবেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।