মধ্যপ্রদেশ: ৩৪১-১০, ২৮১-১০
বাংলা: ২৩৭-১০, ১৭৫-১০ (অভিমন্যু ঈশ্বরণ ৭৮, শাহবাজ আহমেদ ২২)
মধ্যপ্রদেশ ১৭৪ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রনজিতে (Ranji Trophy) ফের স্বপ্নভঙ্গ বাংলার। মধ্যপ্রদেশের কাছে ১৭৪ রানে বিশ্রীভাবে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলেন মনোজ তিওয়ারিরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ই ডুবিয়ে দিল অরুণ লালের ছেলেদের।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে নামার আগেই পাহাড়প্রমাণ চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলা দল (Bengal)। এই ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে সাড়ে তিনশো রান করতে হত বাংলা দলকে। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে বাংলা। প্রথম ৫ উইকেট পড়ে যায় মাত্র ৯৭ রানে। যেটুকু আশা জাগিয়েছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran) সেটুকুও এদিন সকালেই নিভে যায়। আর স্পিনের চক্রব্যুহে পড়ে অভিমন্যু ৭৮ রান করে আউট হওয়ার পরই বাংলার পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররাও তেমন প্রতিরোধ করতে পারেননি। ফলে বাংলার ইনিংস শেষ হল মাত্র ১৭৫ রানে। ১৭৪ রানে হারতে হল মনোজ তিওয়ারিদের।
[আরও পড়ুন: ওয়ানডে ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড, তিন তারকার হাত ধরে প্রায় ৫০০ রান ইংল্যান্ডের]
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা যেভাবে ঝাড়খণ্ডকে হারাল, তাতে অনেকের বঙ্গ সমর্থকের মনে হয়েছিল অপেক্ষাকৃত তারকাহীন মধ্যপ্রদেশ তেমন বেগ দিতে পারবে না বাংলা দলকে। কিন্তু হল ঠিক উলটোটাই। ম্যাচের একেবারে প্রথম দিন থেকেই দাপট দেখাল মধ্যপ্রদেশ। হিমাংশু মন্ত্রীর শতরানে ভর করে প্রথম ইনিংসেই ৩৪১ রান করে মধ্যপ্রদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজ্যের মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwari) এবং শাহবাজ আহমেদের সেঞ্চুরিতে ভর করে কোনওক্রমে ২৭৩ রানে পৌঁছায় বাংলা।
[আরও পড়ুন: ‘টি-২০ বিশ্বকাপে ওকে না দেখলে অবাক হব’, কার্তিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গাভাসকর]
দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনাররা খানিকটা হলেও ম্যাচে ফেরায় বাংলাকে। রজত পাটিদার ৭৯ এবং আদিত্য শ্রীবাস্তব ৮২ রান না করলে মধ্যপ্রদেশের দ্বিতীয় ইনিংস অনেক আগেই শেষ হতে পারত। কিন্তু পাটিদার আর শ্রীবাস্তব দ্বিতীয় ইনিংসে মধ্যপ্রদেশকে ২৮১ রানে পৌঁছে দেন। বাংলার হয়ে সেঞ্চুরি করা শাহবাজ (Shahbaz Ahamed) নেন ৫ উইকেট। জয়ের জন্য ৩৫০ রানের বিশাল টার্গেটের মুখে পড়তে হয় বাংলাকে। স্পিনার চক্রব্যুহে পড়ে তার অর্ধেকেই আটকে গেল বাংলা দল। ফলে এই নিয়ে পরপর দু’বার খুব কাছাকাছি গিয়েও রনজি জয়ের স্বপ্ন অধরা থেকে গেল মনোজদের।