দুলাল দে: চোটটা পেয়েছিলেন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে বেলারুশের বিরুদ্ধে। তবে মারাত্মক নয়, জাতীয় দলের ডাক্তার জানিয়েছিলেন, কিছুদিন ম্যাচ না খেলে রিহ্যাব করলেই চোট সেরে যাবে। ডাক্তারের পরামর্শ মতোই মঙ্গলবার এএফসি কাপে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে দলের এক নম্বর ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্ঘানকে টিমে রাখছে না এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) টিম ম্যানেজমেন্ট। যে কারণে বাইপাসের ধারে যে পাঁচতারা হোটেলে এটিকে মোহনবাগান দল রয়েছে, সেই হোটেলে রবিবার সকালে জিমে অনুশীলন করলেও বিকেলে দলের অনুশীলনে দেখা যায়নি সন্দেশকে।
এএফসি কাপের জন্য যেদিন থেকে এটিকে মোহনবাগানের অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন, সেদিন থেকেই আর বল নিয়ে অনুশীলন করেননি। মাঠের ধারে হালকা স্ট্রেচিং করেন। তখনই বোঝা গিয়েছিল সমস্যা আছে। এরপর চোট নিয়ে দলের কোচ জুয়ান ফেরান্দোর সঙ্গে আলোচনা করলে সন্দেশকে এএফসি কাপের (AFC Cup) প্রথম ম্যাচে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে তাতে অন্য একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। এএফসি কাপের নিয়ম অনুযায়ী চারজন বিদেশি খেলানো সম্ভব হবে। সেক্ষেত্রে সন্দেশ যদি খেলতে না পারেন, তাহলে স্টপারে তিরির সঙ্গে খেলবেন কে? কার্ল এখনও আসেননি। ফলে তাঁর প্রথম ম্যাচে খেলা সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে কোন চারজন বিদেশিকে খেলানো হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে ভালরকম।
[আরও পড়ুন: সিংহাসন গিয়েছে ইমরানের, এবার পাক ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরতে পারেন রামিজ রাজাও]
একজন অতিরিক্ত বিদেশি ডিফেন্সে ব্যবহার করলে আক্রমণে বিদেশির সংখ্যা কমিয়ে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম দল গড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়বেন কোচ ফেরান্দো। কারণ, তিনি এমনিতেই আক্রমণাত্মক কোচ। তিরির সঙ্গে একজন বিদেশি ডিফেন্ডার খেলালে, আক্রমণে, রয় কৃষ্ণ, কাউকো, হুগো বুমোস- এই তিনজনের মধ্যে কোন দু’জন বিদেশি খেলাবেন, তা নিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়ে যাবেন এটিকে মোহনবাগান কোচ।
একটাই সুবিধে। প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার। যাদের থেকে ধারে ভারে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন রয় কৃষ্ণরা। ফলে প্রথম ম্যাচে সন্দেশকে বিশ্রাম দিতে কোনও সমস্যাই হওয়ার কথা নয় ফেরান্দো। প্রথম ম্যাচে বিশ্রাম পেলে পরের ম্যাচ থেকে প্রথম দলেই খেলার সম্ভাবনা রয়েছে সন্দেশের (Sandesh Jhingan)।
মঙ্গলবার ম্যাচে গ্যালারির নিরাপত্তা নিয়ে মারাত্মকরকম চিন্তিত প্রশাসন। গ্যালারিতে এমন কোনও পোস্টার, ফ্ল্যাগ, টিফো লাগাতে দেওয়া হবে না, যা দেখে দর্শকদের মধ্যে কোনওরকম অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হতে পারে। যে কারণে, রাজ্য সরকার ১০০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিলেও এটিকে মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ প্রথম ম্যাচে মাত্র ৩৩ হাজার দর্শক প্রবেশের ব্যবস্থা রেখেছে। দেখে নিতে চাইছে, প্রথম ম্যাচে গ্যালারির পরিস্থিতিটা। নিরাপত্তার কারণে ঠিক হয়েছে, কোনও দর্শক জলের বোতল নিয়েও মাঠে প্রবেশ করতে পারবে না। ম্যাচ শুরু হওয়ার দু’ঘণ্টা আগেই যুবভারতীতে প্রবেশের দরজা খুলে দেওয়া হবে। গ্যালারিতে প্রবেশ করার আগে সমর্থকদের স্যানিটাইজ করাও হতে পারে।