সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi) ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতেন। বোলাররা তাঁকে বল করতে ভয় পেতেন।
বাস্তব জীবনেও সিংহ হৃদয়ের একজন মানুষ আফ্রিদি। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান নাজিরের (Imran Nazir) চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থ খরচ করেছিলেন আফ্রিদি। আর তার জন্য ইমরান নাজির কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন পাকিস্তানের সুদর্শন প্রাক্তন ক্রিকেটারকে।
কেরিয়ারের চুড়োয় থাকার সময়ে ইমরান নাজিরের উপরে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল। তাঁর শরীরে পারদ মেলে। কিন্তু কীভাবে পারদ তাঁর শরীরে গেল, সেই সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই ইমরান নাজিরের। এমআরআই করতে গিয়ে জানাজানি হয় ইমরানের শরীরে রয়েছে পারদ। আর এই পারদ শরীরের সংযোগস্থলগুলোকে নষ্ট করে দিয়েছে। পারদ ধীর লয়ে ক্ষয় করে মানবশরীরকে। ইমরান নাজির দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। একটি পডকাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান নাজির কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শাহিদ আফ্রিদিকে। নিজের অসুস্থতা সম্পর্কে পাকিস্তানের হয়ে ৮টি টেস্ট ম্যাচ এবং ৭৯টি ওয়ানডে খেলা নাজির বলছেন, ”এমআরআই করার সময়েই জানা যায় আমার শরীরে পারদ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৮-১০ বছর ধরে আমার চিকিৎসা চলছে। আমার শরীরের সংযোগ স্থলগুলো ক্ষয়িত হয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা করতাম, আমি যেন শয্যাশায়ী না হই। ঈশ্বরের আশীর্বাদ আমি শয্যশায়ী হইনি।”
[আরও পড়ুন: ব্রাভোকে শিস দেওয়া শেখাচ্ছেন ধোনি, ভিডিও পোস্ট করল সিএসকে]
ইমরান নাজির এখন হেঁটে চলে বেড়াচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে দেখা হলেই মানুষজন বলে ওঠেন, ”আপনাকে দেখতে তো ভালই লাগছে।” কিন্তু কবে কীভাবে তাঁর উপরে বিষপ্রযোগ করা হয়েছিল, তা বলতে পারেন না ইমরান নাজির।
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন ইমরান নাজির। সেই প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার বলছেন, তাঁর অসময়ে শাহিদ আফ্রিদি পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রচুর অর্থ খরচ করেছিলেন ইমরানের পিছনে। সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে চিকিৎসা করেন ইমরান নাজির। কিন্তু পরের দিকে আর্থিক কষ্টে ভুগতে থাকেন ইমরান। কপর্দকহীন হয়ে পড়েন। সেই সময়ে শাহিদ আফ্রিদি এগিয়ে আসেন। ইমরান নাজির বলছেন, ”পাকিস্তানি মুদ্রায় প্রায় ১২-১৫ কোটি টাকা দিয়ে আমার চিকিৎসা হয়। শাহিদ ভাইয়ের সঙ্গে যখন সাক্ষাৎ হয়, তখন আমার কাছে কিছুই ছিল না। একদিনের মধ্যেই আমার চিকিৎসকের অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যায়। শাহিদ আফ্রিদি প্রায় ৪০-৫০ লাখ টাকা খরচ করেছিল আমার চিকিৎসার পিছনে।”