ইস্টবেঙ্গল: ১ (রালতে-পেনাল্টি)
আইজল: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচের বয়স তখন ৯৪ মিনিট। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে উপস্থিত দু’দলের সমর্থকরাই ধরে নিয়েছেন ম্যাচের ফলাফল জানতে আরও অন্তত ৩০ মিনিটের খেলায় চোখ রাখতেই হবে। খেলা গড়াবে এক্সট্রা টাইমে। কিন্তু না। তখনই বক্সের ভিতর ক্রোমাকে ফাউল করে বসলেন আইজলের গোলকিপার। ব্যস, হাতে যেন চাঁদ পেল ইস্টবেঙ্গল। আর শেষ মুহূর্তে এমন সুযোগ থেকে গোল মিস? নৈব নৈব চ! একদিকে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন ক্রোমা, আর অন্যদিকে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে দিলেন রালতে।
[সন্তানের পদবি হবে ‘মির্জা-মালিক’, জানিয়ে দিলেন সানিয়া]
দলের কর্তৃত্ব নিয়ে খালিদ জামিল আর সুভাষ ভৌমিকের লড়াই অনেক দিনই প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। কোচ না টিডি, কার কথা শুনবেন? ভেবে কূল পাচ্ছিলেন না কাটসুমি-আমনারা। তবে রবিবার আইজলের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়লেন তাঁরা, তা দেখে কিন্তু সেসব বোঝার উপায় নেই। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ছিল ভালই। আইজলের বক্সে বারবার হানাও দিলেন লাল-হলুদ স্ট্রাইকাররা। একটি নিশ্চিত গোল হাতছাড়া না হলে আগেই দলকে এগিয়ে দিতে পারতেন আমনা। তবে প্রতিপক্ষও কম যায় না। অর্থাৎ টক্করটা চলল সেয়ানে-সেয়ানে। তবে আইজলের গোলকিপারের ভুলেই স্বপ্নভঙ্গ হল সন্তোষ কাশ্যপের দলের।
[‘বিশ্বরেকর্ডের টিপস নিতে রাত এগারোটায় স্যরকে ফোন করেছিলাম’]
মাঠে যেমন চলছিল এগারো বনাম এগারোর লড়াই, তেমন মাঠের বাইরেও আরেকটা নিঃশব্দ লড়াই চলছিল। খালিদ ও কাশ্যপের মতো। আইজলকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন খালিদ। তারপর লাল-হলুদের দায়িত্ব নিয়ে আইজলে গিয়ে সেখানকার সমর্থকদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তাই আইজলকে হারানোর অদ্ভুত একটা তাগিদ লক্ষ্য করা যাচ্ছিল তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজে। অন্যদিকে খালিদের কাছে মাথা নত করতে চাননি কাশ্যপও। তাই ইস্টবেঙ্গলকে আটকে রাখার স্ট্র্যাটেজি নিয়েই এগোচ্ছিলেন। যদিও শেষরক্ষা হল না। পাহাড় টপকে প্রথম দল হিসেবে শেষ চারে জায়গা পাকা করল ইস্টবেঙ্গল। খুশির হাওয়া লাল-হলুদ শিবিরে। এই হাওয়ায় সুভাষ-খালিদ দূরত্বও পুরোপুরি মুছে যাবে। এমনটাই আশা ফুটবলারদের। আর দুই পোড়খাওয়া কোচের হাত ধরেই তাঁবুতে আসবে সুপার কাপের ট্রফি। এমন স্বপ্নেই বুঁদ সমর্থকরা।
The post শেষ মুহূর্তের পেনাল্টিতে গোল, পাহাড় টপকে সুপার কাপের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল appeared first on Sangbad Pratidin.