সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবানরা। দেশত্যাগ করেছেন আফগানি প্রেসিডেন্ট। ভয়ে কাঁপছেন স্থানীয়রা। দেশ ছাড়ার মরিয়া চেষ্টা করছেন প্রত্যেকেই। কিন্তু এখনও আফগানিস্তানেই আটকে রশিদ খানের (Rashid Khan) পরিবার। প্রতি মুহূর্তে দুশ্চিন্তা কুরে কুরে খাচ্ছে আফগান ক্রিকেট তারকাকে। তারই মধ্যে ক্রিকেটারদের ভরসার বাণী শোনাল আফগান ক্রিকেট বোর্ড (Afghan Cricket Board)। তাদের দাবি, তালিবান তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না আফগানের ক্রিকেট। কারণ তালিবানরা ক্রিকেট পছন্দ করে।
রশিদ খান, নবিদের আশ্বস্ত করে সংবাদ সংস্থা PTI-কে আফগান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও হামিদ শিনওয়ারি জানান, তালিবানরা ক্রিকেট ভালবাসে এবং এই খেলাকে সমর্থন করে। ওরা কাবুল দখল করলেও ক্রিকেটের বিষয়ে নাক গলায়নি। তাই তালিবানদের উপস্থিতিতেও ক্রিকেট পরিচালনা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। পাশাপাশি তিনি এও আশ্বস্ত করেন, আফগানিস্তানের প্রত্যেক ক্রিকেটার এবং তাঁদের পরিবার একেবারে নিরাপদে রয়েছে।
[আরও পড়ুন: Taliban Capture Afghnaistan: কত টাকার মালিক এই জঙ্গিগোষ্ঠী? কোথা থেকে আসছে অর্থ?]
বর্তমানে ‘হান্ড্রেড’ টুর্নামেন্টে খেলার জন্য ব্রিটেনে রয়েছেন আফগানি তারকা স্পিনার রশিদ খান। তাঁর সঙ্গেই আছেন মহম্মদ নবি এবং মুজিব জাদ্রান। একরাশ চিন্তা নিয়েও ট্রেন্ট রকেটসের হয়ে দুরন্ত পারফর্ম করেন রশিদ। কিন্তু পরিবার যে এখনও তালিবান (Taliban) অধীনস্ত আফগানিস্তানে, তা মনে পড়লেই শিউরে উঠছেন। প্রাক্তন ইংলিশ তারকা কেভিন পিটারসেনও রশিদের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মনের অবস্থা বুঝতে পেরেছেন। তবে এসবের মধ্যেই যেন এক টুকরো আশার আলো পাওয়া গেল আফগান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও’র কথায়। হামিদ বলেন, “আমার মনে হয় না এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে তালিবানরা। তাদের থেকে সমর্থনই আশা করছি যাতে দেশের ক্রিকেট এগিয়ে যেতে পারে। একজন সক্রিয় চেয়ারম্যানকেও পেয়েছি। আমি পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত আমিই সিইও পদে বহাল থাকব।”
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল তালিবানরা। সেই সময়ই আফগান ভূমে ক্রিকেটীয় সূর্যোদয় হয়েছিল। তাই বোর্ড সিইও’র দাবি, তালিবানি জমানায় ক্রিকেটের উন্নতিই ঘটেছে। সেই সময় পেশোয়ারে অনুশীলন করতেন ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটকে বরং উৎসাহই দেওয়া হয়েছে। তিনি এও জানান, শীঘ্রই পাকিস্তান সিরিজের জন্য প্র্যাকটিসেও নেমে পড়বেন ক্রিকেটাররা। তবে সিইও’র কথা রশিদ খান কতখানি স্বস্তি পাচ্ছেন, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।