সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়সটা সংখ্যামাত্র। বুদ্ধি ও বিচক্ষণতা এবং তার প্রয়োগই শেষ কথা। রজার ফেডেরারের মতো বিশ্বনাথন আনন্দও ফের সে কথাই প্রমাণ করে চলেছেন।
[শচীনদের তিক্ত স্মৃতির বদলা নিয়ে তৈরি বিরাটের টিম ইন্ডিয়া]
কথায় বলে, সব ভাল যার শেষ ভাল। আনন্দের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হল। দুদিন আগেই রিয়াধে বিশ্ব ব়্যাপিড দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ভারতীয় কিংবদন্তি। সেরা হওয়ার পথে হারিয়েছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনকে। শেষে টাইব্রেকারে বয়সে ২৬ বছরের ছোট রাশিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বীকে কুপোকাৎ করে সেরার শিরোপা পেয়েছেন। এবার বিশ্ব ব্লিৎজ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক ঝুলিতে ভরলেন তিনি। ব্লিৎজ ক্যাটাগরির প্রথম দিনটা বিশেষ মধুর ছিল না। রাশিয়ার প্রতিপক্ষ ইয়ান নেপোমনিয়াকচির কাছে হতাশাজনকভাবে হারেন ভিশি। দেখে মনে হয়েছিল, খালি হাতেই বছরটা শেষ হবে তাঁর। কিন্তু যাঁরা সেরা হওয়ার জন্যই জন্ম নেন, তাঁদের নিয়ে কখনও ভবিষ্যদ্বাণী চলে না। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দক্ষতা ও ইচ্ছেশক্তি যে এতটুকু কমে যায়নি, ক্যাটাগরির শেষ দিন তার প্রমাণ দিলেন পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ফ্রান্সের ম্যাক্সিম ভেশিয়ার-ল্যাগ্রেভকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করে ফেলেন তিনি।
৪৮ বছরের দাবাড়ুর চলতি মরশুমে তেমন বড় কোনও সাফল্য নেই। মার্চে হতে চলা ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টেও সুযোগ পাননি। ক’দিন আগে হওয়া লন্ডন চেস ক্ল্যাসিক টুর্নামেন্টে শেষ করেছিলেন লাস্ট বয় হিসেবে। প্রত্যাবর্তন হল ব়্যাপিড দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে। ১৪ বছর পর ফের এই ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। শেষ ১০টি গেমে ৭.৫ পয়েন্ট তাঁর। যা নিঃসন্দেহে প্রশংসা যোগ্য। অন্যদিকে অপ্রতিরোধ্য কার্লসেন। আনন্দের ব্রোঞ্জ ঘরে তোলার দিন সোনা জিতলেন তিনি।
[কমনওয়েলথের ট্রায়ালে সমর্থকদের মারপিট, সুশীলের নামে এফআইআর]
The post বিশ্বমঞ্চে ব্রোঞ্জ পদক ঝুলিতে ভরে বছর শেষ করলেন আনন্দ appeared first on Sangbad Pratidin.