সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফোন না ধরায় কে পাঠিয়েছিলেন ‘হুমকি’ ভরা মেসেজ? কোন সাংবাদিকের তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করেছেন ঋদ্ধিমান? অবশেষে তা নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় উইকেটকিপার।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে ভারতীয় দল (Team India) থেকে বাদ পড়ার পরই জোর চর্চা চলছে ঋদ্ধিমানকে নিয়ে। অনেকে তাঁর ছাঁটাই নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন। এসবের মধ্যেই বিতর্ক উসকে যায় ঋদ্ধিমানের (Wriddhiman Saha) একটি পোস্ট ঘিরে। বাংলার উইকেটকিপার জানান, এক সাংবাদিকের থেকে ‘হুমকি’ মেসেজ পেয়েছেন তিনি! নাম না করে ওই সাংবাদিকের পাঠানো মেসেজের একটি স্ক্রিনশটও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। যেখানে তিনি জানান, দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে কোনও কথা বলতে না চাওয়ায় তাঁকে রীতিমতো এক সাংবাদিকের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। শেয়ার করা স্ক্রিনশটে লেখা, ঋদ্ধিমান ফোন না ধরায় তিনি অপমানিত বোধ করেছেন। আর তিনি অপমান হালকাভাবে নেন না। আক্ষেপের সুরে পোস্টের ক্যাপশনে বাংলার উইকেটরক্ষক লেখেন, “ভারতীয় ক্রিকেটে এতদিনের অবদানের পর শেষে এই আমার প্রাপ্তি। একজন সম্মানীয় সাংবাদিকের থেকে এমন মেসেজ পেতে হচ্ছে। এই পথেই এগিয়েছে সাংবাদিকতা।”
[আরও পড়ুন: মানবিক উদ্যোগ, বিরল রোগে আক্রান্ত কিশোরকে আর্থিক সাহায্য কেএল রাহুলের]
নেটদুনিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় তাঁর পোস্ট। এরপরই হরভজন সিং (Harbhajan Singh), বীরেন্দ্র শেহওয়াগরা ঋদ্ধির পাশে দাঁড়িয়ে সরব হন। সাংবাদিকের নাম প্রকাশ্যে আনার দাবিও তোলা হয়। বিতর্কের আগুন ছড়াতেই আসরে নামে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। জানানো হয়, গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে।
কিন্তু কে এই সাংবাদিক? ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারবার উঠে আসে এই প্রশ্ন। যা নিয়ে মুখ খোলেন ঋদ্ধি। জানিয়ে দেন, তিনি ওই সাংবাদিকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। ঋদ্ধির কথায়, “ব্যাপারটায় আমার খারাপ লেগেছিল। অপমানিত বোধ করেছিলাম। পুরো বিষয়টা মুখ বুজে মেনে নিতে চাইনি। এও চাই না, অন্য কেউ এমন পরিস্থিতির শিকার হোক। সেই জন্য মেসেজটি প্রকাশ্যে এনেছিলাম। কিন্তু সাংবাদিকের নাম বলিনি।” এরপরই যোগ করেন, “কারও কেরিয়ারের ক্ষতি করা আমার স্বভাব নয়। তাই ওর পরিবারের দিকে তাকিয়ে মানবিকতার খাতিরেই আমি সাংবাদিকের নামটি বলব না। কিন্তু ফের এমন ঘটনা ঘটলে চুপ করে থাকব না।” এখন দেখার বিসিসিআইয়ের তদন্তে সাংবাদিকের নামটি সামনে আসে কি না।