সুকুমার সরকার, ঢাকা: তখন কার্যত ধুঁকছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। চিনের থেকে নেওয়া সুদের ভারে নুয়ে পড়েছিল দেশটি। দেউলিয়ার পথেই দ্রত হাঁটছিল কলম্বো। এহেন দুর্দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই কথা মাথায় রেখেই ঢাকার দেওয়া ঋণের ১৫ কোটি ডলার ফেরাল কলম্বো।
শ্রীলঙ্কায় চরম আর্থিক ডামাডোল চলাাকালীন শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি মার্কিন ডলার ধার দেয় বাংলাদেশ। এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি ডলার ফেরত দিয়েছে কলম্বো। শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মহম্মদ মেজবাউল হক সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সুদ হিসেবে বাংলাদেশ পেয়েছে আরও ২৮ লক্ষ ডলার।”
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ‘কলঙ্কিত’ নোবেলজয়ী ইউনুসের পাশে হিলারি ক্লিন্টন]
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কাকে চার কিস্তিতে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেয় বাংলাদেশ। এক বছর মেয়াদি ঋণের মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের সেপ্টেম্বরে। এর পর তিন মাস করে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়। ঋণের বিপরীতে লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেটে দেড় শতাংশ সুদ পাচ্ছে বাংলাদেশ। মুদ্রাবিনিময় চুক্তি অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কাকে ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট প্রথম ধাপে ৫ কোটি ডলার, ৩০ আগস্ট দ্বিতীয় ধাপে ১০ কোটি ডলার ও ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তৃতীয় ধাপে ৫ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
উল্লেখ্য, চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। তলানিতে ঠেকেছে বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার। তাই মার খেয়েছে আমদানি। যার জেরে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। জনগণের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। দেশ চালাতে নাজেহাল অবস্থা রনিল বিক্রমসিংহের সরকারের। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার সাহায্যে এগিয়ে এসেছে বিশ্ব ব্যাংক। ৭০০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।