সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাল ২০১৫। নয় বছর আগে সুস্মিতা সেন, ঋত্বিক চক্রবর্তী, অঞ্জন দত্ত এবং যিশু সেনগুপ্তকে নিয়ে 'নির্বাক' সিনেমাটি তৈরি করেছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji)। 'মানিকবাবুর মেঘ' দেখার পর এবার স্মৃতির সরণিতে হেঁটে দেখলেন পরিচালক। আবারও বাঙালি দর্শকদের সিনে মেধাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিলেন তিনি।
স্টুডিও পাড়ায় যখন অচলায়তন পরিস্থিতি, তখন পরিচালকরা সব একজোট। এমতাবস্থাতেই আরেক পরিচালকের 'পিঠ চাপড়ে' পোস্ট করলেন সৃজিত। প্রথম ছবিতেই আলোড়ন ফেলেছেন নবাগত পরিচালক অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। সিনে-শিল্পের সৃজনশীলতাকে যেভাবে তিনি পর্দায় তুলে ধরেছেন, তা দেখে সাধু সাধু করছেন সমালোচক-দর্শকরা। কালের নিয়মে দর্শকদের স্বাদও এখন বদলেছে। আপাদমস্তক কমার্শিয়াল ছবির পাশাপাশি ভিন্ন স্বাদের ছবিও জায়গা করে নিচ্ছে তাঁদের মনে। সেই প্রেক্ষিতেই সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। যেখানে তাঁর উপলব্ধির কথা জানিয়েছেন তিনি।
সৃজিতের কথায়, যাঁরা ৯ বছর আগে 'নির্বাক' দেখে হেসেছিলেন, টিটকিরি দিয়েছিলেন, তাঁরা আজ 'মানিকবাবুর মেঘ' দেখে কাঁদছেন, হল ভরছেন। ভালো লাগছে। খুব ভালো লাগছে। এভাবেই জিতে যাক প্রতিবিম্বের নরম স্পর্শ, গাছের শ্বেতশুভ্র উত্তেজনা, সারমেয়র সারাংশ, মৃতদেহের ঠান্ডা অভিমান। এভাবেই জিতে যাক মেঘের তীক্ষ্ণ বর্ষার মতো চুম্বন, জলের ফোঁটায় বোনা ছায়ার আদর, ঝোড়ো সঙ্গমে তড়িৎস্পৃষ্ট, মোক্ষম মোক্ষলাভ। অভিনন্দন, বৌদ্ধায়ন। আমি হেরে গিয়েছিলাম, কিন্তু তোমরা জিতে গিয়েছ!" সৃজিতকে সায় দিয়েছেন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
[আরও পড়ুন: প্রসেনজিতের বাড়িতে রাজ-শিবপ্রসাদ, গৌতম ঘোষ-সহ তাবড় পরিচালকদের বৈঠক, টলিউড দ্বন্দ্বে নয়া মোড়!]
২০১৫ সালে পরিচালক হিসেবে স্টোরি টেলিংয়ের যে ধরণ সৃজিত দেখিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে এসে অনেকটা সেই ধাঁচই লক্ষ করা গেল অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'মানিকবাবুর মেঘ' ছবিতে। যা কিনা দেশি-বিদেশি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রশংসা কুড়নোর পাশাপাশি দর্শকদের কাছেও সমাদৃত। তবে নয় বছর আগে 'নির্বাক'-এর থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন এই দর্শকরাই। সেটাই নিজের পোস্টে তুলে ধরেছেন সৃজিত। সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহে এসেছে 'মানিকবাবুর মেঘ'। বাঙালি সিনেদর্শক এবং সমালোচকদের কাছে এযাবৎকাল বহুল প্রশংসিত হয়েছে সিনেমাটি।