সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের মাঝে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়সড় মোড়। জামিন পেলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। মঙ্গলবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সিবিআইয়ের হাতে। বাড়িতে তদন্তকারীদের অভিযান চলকালীন তথ্য লোপাট করতে নিজের মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলেছিলেন তিনি। পরে সেসব মোবাইল উদ্ধার করে সিবিআই। ১৩ মাস জেলবন্দি থাকার পর শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) জামিন পেলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক।
২০২৩ সালের এপ্রিলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। এই দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়ার মিডলম্যানদের সঙ্গে বিধায়কের যোগাযোগ এবং আদানপ্রদানের অভিযোগে এই তল্লাশি। বড়ঞার আন্দি গ্রামে তাঁর বাড়িতে টানা ৭২ ঘণ্টা অভিযান চলাকালীন নিজের দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)। পরে সন্ধে নাগাদ বাড়ির পিছনদিকের পুকুর ছেঁচে একটি মোবাইল উদ্ধার করেন বিশেষজ্ঞ তদন্তকারীরা। অপরটি তখনও পাওয়া যায়নি। সিবিআইয়ের দাবি, তথ্য লোপাট করতে মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলেছেন। টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। পরেরদিন ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারও পরে দ্বিতীয় মোবাইল উদ্ধারের পর তাঁর সঙ্গে মিডলম্যানদের কথোপকথন উদ্ধার করেন।
[আরও পড়ুন: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের FIR মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত]
গ্রেপ্তার হওয়ার ৬ মাস পর জীবনকৃষ্ণ সাহা সোজা দেশের শীর্ষ আদালতে জামিনের আবেদন জানান। ৬ মাস ধরে জেলবন্দি থাকলেও তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। এই যুক্তিতে জামিনের (Bail) আবেদন করেছিলেন তিনি। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে সিবিআইয়ের (CBI) রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। পিছতে থাকে শুনানিও। জীবনকৃষ্ণ আবেদনে জানিয়েছিলেন, দুর্নীতিতে ধৃত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্য়ায়, প্রসন্ন সিনহারা জামিন পেলে তিনি কেন নন? শেষমেশ আবেদনের সাত মাসের মাথায় জামিন পেলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের মাঝে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এমন একজনের জামিন মঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বহরমপুরে ভোট হয়েছে ১৩ মে। তার পরের দিনই জামিন পেলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক।