অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: আগামী সপ্তাহে পাহাড় সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ৫ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহখানেকের জন্য শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ একাধিক জায়গায় তাঁর সভা, কর্মসূচি রয়েছে। আগামী ১২ তারিখ শিলিগুড়ি স্টেডিয়ামে (Siliguri Stadium) সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মুখ্যমন্ত্রীর। তার প্রস্তুতির জন্য সোমবার থেকেই স্টেডিয়ামে বন্ধ খেলা। বাতিল শিলিগুড়ি প্রিমিয়ার লিগের সমস্ত ম্যাচ। অন্তত ১৫ দিন স্টেডিয়ামে কোনও ম্যাচ হবে না। শিলিগুড়ি পুরসভার এই ঘোষণাতেই কার্যত মাথায় হাত লিগে অংশগ্রহণকারী দলগুলি। লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে দল তৈরির পর ম্যাচ খেলা না হলে সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
শিলিগুড়িতে কাঞ্চনজঙ্ঘা ক্রীড়াঙ্গণেই উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ খেলা হয়ে থাকে। এছাড়া পাহাড়ে তেমন কোনও বড় মাঠ বা স্টেডিয়াম নেই। তবে এই স্টেডিয়ামকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে গত বছরই ঘোষণা করা হয়েছিল, এখানে আর কোনও সভা হবে না, শুধুই খেলা হবে। কিন্তু তার পরও আগামী সপ্তাহে সরকারি কর্মসূচি। আর তা নিয়ে জেলায় ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) শংকর ঘোষের বক্তব্য, ”বলা হয়েছিল, খেলা ছাড়া আর কিছু হবে না এই স্টেডিয়ামে। কিন্তু তার পরও মুখ্যমন্ত্রীর সভা, সরকারি অনুষ্ঠান। গা জোয়ারি করে এই স্টেডিয়াম নেওয়া হল। আগেরবার এখানে অরিজিৎ সিংয়ের অনুষ্ঠান আমি বয়কট করেছিলাম প্রতিবাদ জানিয়ে।” মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিও রয়েছে বলে খবর। রবিবার এর প্রতিবাদে স্টেডিয়ামের ১ নং গেটে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই, DYFI.
[আরও পড়ুন: ‘সবচেয়ে বড় অপয়া’, তিন রাজ্যে বিজেপি এগোতেই গেরুয়া নেতার খোঁচা রাহুলকে]
এনিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব সৌরভ ভট্টাচার্য জানান, এটা তো পুরসভার মাঠ। পুরসভা আমাদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার জন্য মাঠটি চেয়েছিল, আমরা দিয়েছি। ওরা আবার যেদিন মাঠ আমাদের হাতে দেবে, সেদিন থেকে খেলা শুরু হবে।” শিলিগুড়ি পুরনিগমের চেয়ারম্যান গৌতম দেবের (Gautam Deb) বক্তব্য, ”আমরা স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো উন্নয়নে বেশ কিছু কাজ করব বলে ঠিক হয়েছে। সেই কারণে গত বছর এখানে মুখ্যমন্ত্রীর সভা হওয়ার পর খেলা ছাড়া আর কিছু হচ্ছে না। এই কাজের মধ্যেই আগামী ১২ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। কিন্তু তার পরই আমরা ঢেলে সাজাব স্টেডিয়ামটি। সব কাজ হয়ে গেলে আবার পুরসভাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।” কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে খেলা না হলে বিভিন্ন দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এই আশঙ্কায় কাঁটা উদ্যোক্তারা।